|
|
|
|
সন্তোষ নেই বাংলা ফুটবলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাংলা-৪ : মণিপুর-২
পঞ্জাব-২ : কর্নাটক-০ |
২৫ বছর আগের কুইলন কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করেছিল বাংলা। কিন্তু এ বার আর গট আপের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেনি। সরাসরি ফলের ভিত্তিতেই সন্তোষ ট্রফি থেকে ছিটকে গেল বাংলা।
মনোরঞ্জন-দীপেন্দুদের জটিল অঙ্কের হিসেব মেলানোর কোনও সুযোগই দেয়নি পঞ্জাব। কর্নাটককে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে (৯ পয়েন্ট) থেকেই শেষ চারে পৌঁছে গেল তারা। তাই জগন্নাথ সানা, নবীন হেলা, স্নেহাশিস দত্ত ও অধিনায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসের গোলে মণিপুরকে ৪-২-এ হারালেও আখেরে লাভ কিছু হয়নি বাংলার। বাংলা ৬ পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে। গত বার প্রাথমিক গ্রুপ লিগে বিদায় নিয়েছিল সাব্বির আলির বাংলা। এ বার কোয়ার্টার ফাইনাল গ্রুপ থেকে।
হতাশ কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য কুইলন থেকে ফোনে বললেন, “আগের ম্যাচে পঞ্জাবের কাছে হারটাই সব শেষ করে দিল। ওই ম্যাচটা অন্তত ড্র করলে আমরা সেমিফাইনাল খেলতাম।” গোটা শিবির জুড়েই শুধু আক্ষেপ আর হাহুতাশ। দীপেন্দু বললেন, “অধিনায়ক হিসেবে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপটা আমার রয়ে গেল।”
জাতীয় ফুটবলে সবচেয়ে বেশি বারের চ্যাম্পিয়ন বাংলার সন্তোষে সাম্প্রতিক লাগাতার ব্যর্থতা নিয়ে কাটা-ছেঁড়া করতে বসলে কতগুলো প্রাথমিক কারণ উঠে আসছে।
এক) বড় ক্লাবগুলো ফুটবলার না-ছাড়ার কারণে দলে অভিজ্ঞ ফুটবলারের অভাব।
দুই) সন্তোষ খেলতে আসার আগে ম্যাচ প্র্যাকটিস তো দূরের কথা ফুটবলারের অভাবে ঠিক করে অনুশীলনই হয়নি।
তিন) শুরু থেকেই বোঝাপড়ার একটা অভাব ছিল।
চার) কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলোতে দীপেন্দুর মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারকে শুরু থেকে ব্যবহার করা হয়নি।
পাঁচ) পঞ্জাবের বিরুদ্ধে গোলকিপার অর্ণবের খারাপ পারফরম্যান্স আর নবীনের পেনাল্টি নষ্ট।
দিনের শেষে বলতেই হয়, কুইলন কিন্তু বাংলার কাছে মোটেও পয়া নয়। ২৫ বছর আগে কুইলন থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল বাংলাকে। এ বারও একই পরিণতি। |
|
|
|
|
|