মার্চেই হয়ে যাবে খড়্গপুর উড়ালপুল, মত রেলকর্তার
বেশ কয়েক বছর আগে খড়্গপুর আইআইটির কাছে পুরী গেট এলাকায় উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। সেই কাজ এখনও চলছে। এই এলাকায় পরপর তিনটি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। ট্রেন যাতায়াতের জন্য ক্রসিংগুলোর গেট মাঝেমধ্যে বন্ধ করতে হয়। এর ফলে শহরবাসী সমস্যায় পড়েন। সমস্যার কথা মেনে দ্রুত ওই কাজ শেষ হবে বলে আশ্বাস দিলেন দক্ষিণ- পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার এ কে বর্মা। রেলবাজেটের পরদিন খড়্গপুরে এসে তিনি বলেন, “সমস্যার কথা জানি। ওখানে তিনটি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। ফলে সমস্যা হয়। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যেই উড়ালপুল তৈরির কাজ শেষ হবে। স্থানীয় মানুষ এবং যাত্রীদের আর সমস্যায় পড়তে হবে না।”
সাংবাদিক বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার।
দক্ষিণ- পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, চুক্তি নিয়ে সমস্যার জেরে উড়ালপুল তৈরির কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়। তবে গত এক বছর ধরে কাজ স্বাভাবিক গতিতেই এগোচ্ছে। বালিচক পর্যন্ত তৃতীয় লাইনের কাজ ২০ এপ্রিলের মধ্যে, খড়্গপুর-গোকুলপুর ডবল লাইনের কাজ মার্চের মধ্যে শেষ হবে বলেও জানান তিনি। খড়্গপুরে রেলের বড় ওয়ার্কশপ রয়েছে। ১৮৯৮ সালে গড়ে ওঠা এই ওয়ার্কশপ দেশের মধ্যে অন্যতম। বুধবার সেখানেই পরিদর্শনে এসেছিলেন জিএম। সঙ্গে ছিলেন রেলের আধিকারিকেরা। সকাল ন’টা নাগাদ পরিদর্শন শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল চারটে নাগাদ। ওয়ার্কশপ পরিদর্শন শেষে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন এ কে বর্মা। পাশে তখন খড়্গপুরের ডিআরএম রাজীবকুমার কুলশ্রেষ্ঠ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌমিত্র মজুমদার। প্রত্যাশিত ভাবেই উঠে আসে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং তাঁদের অভাব- অভিযোগের প্রসঙ্গ। জেনারেল ম্যানেজারের বক্তব্য, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের উপর সব সময়ই নজর থাকে। যাত্রীদের তরফ থেকে কোনও অভিযোগ এলে তা গুরুত্ব দিয়েই দেখা হয়। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কোচে যে টয়লেট থাকে, তা নিয়ে অভিযোগ আসে। ঠিক মতো পরিষ্কারের অভাবে দুর্গন্ধ ছড়ায়। তবে ইতিমধ্যে এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হয়েছে। টয়লেট যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সে জন্য বিশেষ রং ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫০০টি কোচের টয়লেটে এই রং ব্যবহার করা হয়েছে।”
খড়্গপুরে একটি অত্যাধুনিক রান্নাঘর তৈরি হচ্ছে বলেও জানান জেনারেল ম্যানেজার। তাঁর কথায়, “খাবার নিয়ে কিছু সমস্যা থাকে। ওই রান্নাঘর তৈরি হলে সেই সমস্যা এড়ানো যাবে।” হাওড়ার মতো খড়্গপুর স্টেশনেও এক্সকালেটর (চলমান সিঁড়ি) বসানো হবে। আগামী জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলে আশ্বাস দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের। তাঁদের বক্তব্য, এখানে লিফট্ রয়েছে। এক্সিলেটর চালু হলে যাত্রীদের সুবিধে হবে। সঙ্গে হিজলি স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। খড়্গপুর স্টেশনের ‘চাপ’ কমাতে হিজলি স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আয়ের দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেল ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? জেনারেল ম্যানেজারের কথায়, “পণ্য পরিবহণ বাড়ছে। আয়ের ক্ষেত্রে যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়, দক্ষিণ-পূর্ব রেল তার কাছাকাছি রয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.