স্কুলের হাজিরা খাতায় মোট ছাত্রীর সংখ্যা ১২। অথচ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ২৩৭ জন!
পরীক্ষা চলাকালীন একটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে এমন তথ্য জেনে অবাক জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা। এই অভিযোগ হাওড়ার বিনোদিনী বালিকা বিদ্যাভবনের বিরুদ্ধে। জেলা শিক্ষা দফতর জেনেছে, যে অতিরিক্ত ২২৫ জন ছাত্রীকে ওই স্কুলের পক্ষ থেকে পরীক্ষায় বসানো হয়েছে তাদের নেওয়া হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদন না পাওয়া বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল থেকে। ওই স্কুলটি খাতায়-কলমে বাংলা মাধ্যমের হলেও অতিরিক্ত ২২৫ জন ছাত্রীর জন্য রেজিস্ট্রেশন আনা হয়েছে হিন্দি মাধ্যমের ছাত্রী হিসাবে এবং সেই ভাষাতেই প্রশ্ন বিলি করা হয়েছে।
পর্যদের নিয়ম, নবম-দশম ক্লাস না করলে ও দু’টি শ্রেণিতেই পাশ না করলে মাধ্যমিকে বসা যায় না। তা হলে কী করে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই স্কুলে না পড়া ছাত্রীদের নাম পাঠালেন? কী করেই বা এত জন ছাত্রী মাধ্যমিক হিন্দি মাধ্যমে দেওয়ার রেজিস্ট্রেশন পেল? জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ওই স্কুলটি সম্পর্কে কয়েক বছর ধরেই নানা অনিয়মের অভিযোগ আসছিল। এ নিয়ে তদন্তে নামেন হাওড়ার জেলা স্কুল পরিদর্শক তাপস বিশ্বাস। বুধবার মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালীন তিনি যান ওই স্কুলটির যেখানে পরীক্ষার সিট পড়েছে সেই শ্রী দুর্গা বালিকা বিদ্যালয়ে।
তাপসবাবু জানান, বিনোদিনী বালিকা বিদ্যাভবন থেকে ২২৫ জন ছাত্রীর নামে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পাঠানো হলেও ওই ছাত্রীরা যে নিয়মিত ছাত্রী নন, তা হাজিরা খাতায় প্রমাণ মিলেছে। তিনি বলেন, “পর্ষদকে অন্ধকারে রেখে ওই ছাত্রীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়েছে। স্কুলটি হিন্দি মাধ্যম নয়। গোটা ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
অভিযোগ সম্পর্কে ওই স্কুলের সম্পাদক শ্যামলরঞ্জন বসু বলেন, “আমাদের ১৯৭৮ সাল থেকে হিন্দি মাধ্যমের অনুমোদন নেওয়া রয়েছে। সব নিয়ম মেনে করছি। বাকি সব অপপ্রচার।” মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রশাসক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পর্ষদের কিছু করার নেই। যা ব্যবস্থা নেওয়ার সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল পরিদর্শককেই নিতে হবে।” |