স্কুলের গা থেকে সরছে বিদ্যুতের তার
নিজস্ব সংবাদদাতা • জগৎবল্লভপুর |
অবশেষে নড়েচড়ে বসল মাকড়দহ বিদ্যুৎ দফতর। লিখিত কোটেশনের ৪০ শতাংশ টাকাতেই ব্রাহ্মণপাড়া চিন্তামণি বালিকা বিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে যাওয়া হাইটেনশন তার সরিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে তারা।
১৮ ফেব্রুয়ারি আনন্দবাজার পত্রিকায় এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছিল। জগৎবল্লভপুর ব্লকের শঙ্করহাটি ১ পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণপাড়া চিন্তামণি বালিকা বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে গিয়েছে হাইটেনশন তার। ফলে তৈরি হয়েছে নানা সমস্যা। মাকড়দহ বিদ্যুৎ দফতর থেকে বিদ্যুতের ওই লাইন সরাবার জন্য ২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকার খরচের হিসেব দিয়ে লিখিত কোটেশন পাঠানো হয়। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই টাকার ৪০ শতাংশের বেশি দিতে অপারগ বলে জানিয়ে দেয়। দীর্ঘ এক বছর কেটে যাওয়ার পর অবশেষে ২১ ফেব্রুয়ারি মাকড়দহ বিদ্যুৎ দফতর ৪০ শতাংশ টাকাতেই ওই তার সরিয়ে দেওয়ায় সম্মতি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে স্কুলকে। চিঠি পাবার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেবা পাইন ও সম্পাদক জগদীশ হাটুই বলেন, “আমরা খুশি। তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করবার জন্য আমরা মাকড়দহ বিদ্যুৎ দফতরে চিঠি পাঠিয়েছি।” |
বেআইনি অটোর দাপটে বাড়ছে যানজট
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
উলুবেড়িয়া নিমদিঘির একটি জমজমাট এলাকা চৌরাস্তার মোড়। এই রাস্তার এক দিক দিয়ে চলে গেছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়কের মাঝামাঝি এক দিকে উলুবেড়িয়া স্টেশনে যাওয়ার রাস্তা, অন্য দিকে এককড়ি সিংহরায় রোড। এই চৌরাস্তার মোড়েই প্রতিদিন যাত্রী তোলার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে প্রচুর অটো। ফলে রাস্তা পারাপার করতে অসুবিধা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর মধ্যে জাতীয় সড়কে দ্রুত যান চলাচল করার জন্যে ওই মোড়ে প্রতিদিন লেগেই থাকে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, প্রশাসনের মদতেই রমরমিয়ে চলছে বেআইনি অটো। ওখানে চলাচল করা অনেক অটোরই বৈধ লাইসেন্স নেই। স্থানীয় ক্লাবের সদস্য দীপক মাইতি বলেন, “ক্লাবের পক্ষ থেকে আমরা অনেক বার জাতীয় সড়কের উপর সাবধানে রাস্তা পারাপারের জন্য সতর্কীকরণ বোর্ড লাগিয়েছিলাম। প্রতিবারই রাতের অন্ধকারে সেটা খুলে নেওয়া হয়েছে।” এ বিষয়ে উলুবেড়িয়ার এসডিপিও শ্যামল কুমার সামন্ত বলেন, “বেআইনি অটোর বিরুদ্ধে আমরা বরাবরই অভিযান চালাই। তবে কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |