চৌত্রিশ বছরের বাম জমানায় সিপিএম ‘লুটেপুটে’ খেয়ে থাকলে তৃণমূলও যে ছেড়ে কথা বলবে না, সেই ইঙ্গিত মিলল তৃণমূলের বিধায়কের কথায়। বুধবার গোঘাটে দলীয় কর্মিসভায় সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “সিপিএম ৩৪ বছর লুটেপুটে খেয়েছে। এ বার তৃণমূল যা করার করবে।”
বুধবার হুগলি জেলার গোঘাটে দলের জেলা সভাপতি তথা সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত যখন এ কথা বলছেন, তখন পাশেই বসে জেলার আরও কয়েক জন বিধায়ক। কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, পারভেজ রহমান, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, ইকবাল আহমেদ প্রমুখ। পরে ওই একই মঞ্চে বক্ততা করেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, মন্ত্রী বেচারাম মান্নারাও। শুধুমাত্র এতেই ক্ষান্ত দেননি তপনবাবু। দলের কর্মীদের উৎসাহিত করতে তাঁর আরও সংযোজন, “স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বত্র তৃণমূলের ছেলেরাই ঢুকবে। সে জন্য যা যা করতে হয়, তাই করুন। যে থানায় পুলিশ আমাদের কথা শুনবে না, সেখানে পুলিশ থাকবে না।”
তপনবাবুর বক্তব্যে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “কে কোথায় কী বলল, তা নিয়ে আমরা মন্তব্য করি না। মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন, সেটাই বিচাযর্।” তপনবাবুর মম্তব্যে অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও। কৃষি প্রতিমন্ত্রী তথা হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না পরে বলেন, “এমন বক্তব্য সমর্থন করা যায় না। এটা দলের অবস্থান নয়।” পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক হিংসার আশঙ্কা করছে বিরোধী দলগুলি। তপনবাবুর বক্তব্যেও এ দিন সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট আসছে। আমরা কিন্তু সিপিএমকে আপেল ছুড়ব না। যার যা ওষুধ, সেই টনিক দিতে হবে। কেউ মস্তানি করলে ঠান্ডা করার দায়িত্ব আমাদের।” জেলা সিপিএমের এক নেতার কথায়, “সন্ত্রাস করেই জিততে চায় ওরা। তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে জমি সরছে।” |