|
|
|
|
ব্যবসায়ীর মেয়েকে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
লাতেহারে এক ব্যবসায়ীর সাত বছরের কন্যাকে অপহরণ করল দুষ্কৃতীরা। তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, অপহরণের পিছনে জঙ্গিদের হাত রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনা ঘটেছে। সেই শিশুকন্যাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। শিশুটির খোঁজে বুধবার লাতেহারে তল্লাশি চালিয়েছে জেলা পুলিশের দল।
বালুমাথ থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। তেমন জায়গা থেকেই রীতিমতো ঘরে ঢুকে মায়ের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ওই কন্যাকে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির নাম স্বপ্না কুমারী। সে বালুমাথেরই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বাবা দুর্গাপ্রসাদ গুপ্তর বিয়ে বাড়িতে শয্যা সামগ্রী সরবরাহের ব্যবসা রয়েছে। দুর্গাপ্রসাদ জানিয়েছেন, ঘটনার সময়ে তিনি রাঁচিতে ছিলেন। বাড়িতে তাঁর ছেলে অমর, মেয়ে স্বপ্না আর স্ত্রী ছিলেন। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে আসে। তিনি বলেন, “দুষ্কৃতীরা দলে সাত-আটজন ছিল। আমার স্ত্রীর কপালে বন্দুক ঠেকায় দুষ্কৃতীরা। প্রথমে দুষ্কৃতীরা টাকা-পয়সা, গহনা সব বার করে দিতে বলে। ঘরে কিছুই ছিল না। কিছু না পেয়ে প্রথমে চেষ্টা করে আমার ছেলেকে অপহরণ করার। কিন্তু ছেলে ঘরে না থাকায় আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। দুধ দিতে বাড়িতে গোয়ালা এসেছিল। সে ওই ঘটনা দেখে টেন্ট হাউসের ভিতরে ছেলেকে নিয়ে লুকিয়ে পড়ে। ফলে দুষ্কৃতীরা ছেলেকে আর খুঁজে পায়নি।”
লাতেহারের পুলিশ সুপার ক্রান্তিকুমার ঘরদেশি অবশ্য ঘটনার পিছনে জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “ঘটনার পিছনে কাদের হাত রয়েছে তা এখনই স্পষ্ট নয়। আগে বাচ্চাটিকে খুঁজে বার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এস পি মুখে না স্বীকার করলেও তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনার পিছনে জঙ্গিদেরই হাত রয়েছে। লাতেহার জেলায় লেভি আদায়ের জন্য কোনও ব্যবসায়ী কিংবা তাঁর আত্মীয়-পরিজনদের তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএলএফআই) কিংবা তৃতীয় প্রস্তুতি কমিটির (টিপিসি) মতো দলছুট মাওবাদী সংগঠনগুলি হামেশাই ঘটায়। |
|
|
|
|
|