|
|
|
|
আজ ফলাফল ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ের সঙ্গে সঙ্গে আগামী কাল ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটেরও গণনা। তবে বিশেষ নজর থাকবে দেশের একমাত্র বামশাসিত রাজ্য ত্রিপুরার দিকেই। বামফ্রন্ট সরকার গড়লে মানিক সরকারই যে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন, সেটাও জানিয়ে দিয়েছে তাঁর দল, সিপিএম। আর কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় এলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী, এ নিয়ে এখনও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব কোনও নির্দিষ্ট নাম ঘোষণা করতে পারেননি। জানিয়েছেন, ‘‘বিষয়টি সনিয়াজিই ঠিক করবেন।’’
৬০ সদস্য বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের পর অবশ্য রাজনৈতিক মহল এবং স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার নির্বাচনোত্তর সমীক্ষায় আভাস মিলেছে, সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার কেবল সময়ের অপেক্ষা। সিপিএমের রাজ্য কমিটির তো দাবি, এ বার শুধু সংখ্যা গরিষ্ঠতা নয়, গত বারের থেকেও বেশি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তাঁরা। বামফ্রন্টের প্রধান শরিক সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধরের কথায়, মানিকবাবুই যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।’’ তা হলে মানিকবাবু টানা চার বার মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসবেন। ১৯৯৮ সাল থেকে মানিক সরকারই রাজ্যে কাণ্ডারি। |
মানিক সরকার |
মুকুল সাংমা
|
নেফিয়ু রিও |
|
ত্রিপুরায় ভোট গ্রহণ হয়েছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। আর নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে হয়েছে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ বারের ভোটে দেশের মধ্যে শতকরা হিসেবে সর্বোচ্চ হারে (৯৩.৫৭ %) ভোট পড়ার রেকর্ড তৈরি করেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরাই। ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে রাজ্যের মহিলারা পুরুষদের থেকেও এগিয়ে রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে, মহিলাদের শতকরা হার ৯৩ শতাংশ, আর পুরুষদের ৯১ শতাংশ। কিন্তু কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, উল্লেখযোগ্য ভোট পড়ার কারণ, অধিকাংশ ভোটই প্রতিষ্ঠান-বিরোধী। বিশেষত কংগ্রেসের নিজস্ব একটা ভোট তো রয়েছেই, যা প্রতিবারের মতো এ বারও ভোট বাক্সে পড়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের দাবি, এ বারে ‘সাচ্চা কমিউনিস্টরাও’ দল বেঁধে কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। রাজ্যে পরিবর্তন হচ্ছেই।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আশুতোষ জিন্দল বলেন, ‘‘কাল সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হবে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গোনা হবে। তার পর ইভিএম-এর ভোট গণনা।’’ ভোট গণনা হবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং মহকুমা স্তরের মোট ১৭টি কেন্দ্রে। দুপুর সাড়ে বারোটা-১টার মধ্যে প্রায় সব ফলাফলই জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|