টুকরো খবর
নাবালকত্বের সংজ্ঞা বদলাতে নারাজ কেন্দ্র
বিচারের ক্ষেত্রে নাবালকদের বয়ঃসীমা কমানোর কোনও পরিকল্পনা আপাতত কেন্দ্রের নেই। আজ লোকসভায় এ কথা জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী কৃষ্ণা তিরথ। দিল্লি গণধর্ষণের পরে সারা দেশে নাবালকত্বের সংজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের এক জন নাবালক বলে আইনের চোখে অনেকটাই ছাড় পায়। কিন্তু ধর্ষণে তার ভূমিকায় অবাক হয়েছিলেন পুলিশ-কর্তারাই। তাই নাবালকত্বের বয়ঃসীমা ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার দাবি উঠেছিল সমাজের নানা অংশ থেকে। কৃষ্ণা জানান, এ নিয়ে নানা মতামত কেন্দ্রের কাছে এসেছিল। কিন্তু আইন সংশোধনের সুপারিশ করার জন্য গঠিত জে এস বর্মা কমিটি বয়ঃসীমা কমানোর প্রস্তাবকে অনুমোদন করেনি। তাই মন্ত্রকও এখন এই বিষয়ে কোনও চিন্তাভাবনা করছে না। নাবালক বিচার আইনের অন্য কিছু সংশোধনের সুপারিশ করেছে বর্মা কমিটি। সেগুলি বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ওই সুপারিশগুলি কার্যকর করা হবে। নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী জানান, দোষী সাব্যস্ত নাবালকদের ‘জুভেনাইল হোমে’ আলাদা রাখা হয়।

তিন দুর্ঘটনায় মৃত তিন ছাত্রী
তিনটি পৃথক দুর্ঘটনায় অসমে তিন ছাত্রছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে শিবসাগরে। পুলিশ জানায়, শিবসাগর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ঋতুপর্ণা দত্ত স্কুটিতে করে কলেজে যাচ্ছিল। প্রগতি চারিয়ালির কাছে উল্টোদিক থেকে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই ঋতুপর্ণার মৃত্যু হয়। এরপর স্থানীয় মানুষ দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে। পরের ঘটনাটি ঘটে নগাঁও জেলার চামাগুড়িতে। পুলিশ জানায়, নগাঁও থেকে তেজপুর যাওয়ার সময় সুনারিবিল এলাকায় একটি যাত্রীবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে রাবিয়া খাতুন নামে এক ছাত্রী মারা যায়। জখম অবস্থায় পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শোণিতপুর জেলার গোহপুরে। বালিজান এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী অঙ্কিতা কাঠহাজরিকা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

বিহারে খুন পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ২
কাল রাতে রাজ্যে দু’টি পৃথক ঘটনায় শাসক দলের এক নেতা ও এক পঞ্চায়েত প্রধান খুন হন। প্রথম জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ও দ্বিতীয় জনকে গুলি করা হয়। দু’টি ঘটনাতেই কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনাদু’টি ঘটেছে আরা এবং গয়া জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, কাল রাতে বাড়ি ফিরছিলেন গয়া জেলার জেডিইউ নেতা শিমঋক যাদব। এমন সময় বাথানি বাজার এলাকায় কয়েকজন তাঁকে ঘিরে ধরে লাঠি এবং লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকে। মারের চোটে ওই ব্যক্তি রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। মগধ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রাজনৈতিক রেষারেষির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। অন্য দিকে, আরা জেলার গরনী থানার বিদারপুল এলাকায় মোটরসাইকেলে করে বাড়ি যাওয়ার পথে খুন হন একরী পঞ্চায়েতের প্রধান বিনোদ সিংহ।

মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী মা
মেয়েকে হত্যা করে আত্মঘাতী হলেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে ধুবুরি জেলায়। পুলিশ জানায়, ঝগড়ার পারের বাসিন্দা রশিদা বিবি (২৮)-র সঙ্গে বহলপুরের বাসিন্দা আজিজুল হক ইসলামের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুই পুত্র, এক কন্যা। ৬ মাসের ছোট মেয়ে মর্জিনাকে নিয়ে দু’দিন আগে রশিদা বাপের বাড়ি আসেন। আজ সকাল অবধি রশিদা দরজা না খোলায় বাড়ির লোক দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। বিছানায় মেলে শিশুকন্যার প্রাণহীন দেহ। পুলিশ জানায়, মেয়েকে হত্যা করে রশিদা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।

আগুনে পুড়ে মৃত্যু ধর্ষিতার
পুলিশকর্মী ও তার সঙ্গীদের হাতে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী আগুনে পুড়ে মারা গেলেন। মেঘালয়ের পূর্ব খাসি হিল জেলার ঘটনাটি সম্পর্কে পুলিশ জানায়, ২০১১-এর মার্চে মেয়েটির বান্ধবী তাঁকে শিলং-এর হোটেলে নিয়ে আসে। সেখানেই মাদক প্রয়োগ করে মেয়েটিকে অজ্ঞান করা হয়। এরপর সাব ইনস্পেক্টর এস এন রায় ও তার সঙ্গীরা মিলে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় মেয়েটির বান্ধবী অ্যাঞ্জেল দুলিয়ান, ব্র্যান্ডো নোংগ্রুম, জনি কাসিয়ার ও ববি জারওয়া নোংসিয়েজ গ্রেফতার হয়। তবে প্রধান অভিযুক্ত পলাতক।

মুক্ত ইঞ্জিনিয়ার
বারো দিন পরে মুক্তি পেলেন পাওয়ার গ্রিডের অপহৃত ইঞ্জিনিয়ার। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কেরলের বাসিন্দা চিন্তালা পাইডি রাজু বাক্সা থেকে অপহৃত হন। পুঠিমারি এলাকায় নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আজ সকালে তিনি তামুলপুর থানায় হাজির হন। পুলিশের সন্দেহ, বড়ো জঙ্গিরাই অপহরণে জড়িত।

সনিয়া নিয়ে চুপ শরদ
সনিয়া গাঁধী সম্পর্কে মন্তব্য করা থেকে কৌশলে বিরত থাকলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। কংগ্রেসের সদর দফতরের ইতিহাস সম্পর্কে এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “অনেকেই হয়তো চাইছেন যে সনিয়া গাঁধী সম্পর্কে মন্তব্য করি। কিন্তু আমি তা করব না। কারণ, তা করলে ইউপিএ সরকারে অস্থিরতা তৈরি হবে।” রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই বক্তব্যে সনিয়া গাঁধী সম্পর্কে তাঁর অবস্থানের যে পরিবর্তন হয়নি তা স্পষ্ট হয়ে গেল। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুশীল শিন্দে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর পাশে বসে পওয়ার বলেন, “কংগ্রেস থেকে ৬ বছরের জন্য আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কিন্তু ছ’বছর কেটে যাওয়ার পরেও কংগ্রেস সদর দফতরে পা না রাখাই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেছি।” পওয়ার যাই বলুন, শিন্দে তাঁর বক্তৃতায় অনেক বেশি করে সনিয়ার আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন।

নতুন অধ্যায় কর্মসংস্থান
দেশে তরুণ-তরুণীদের সংখ্যা বাড়ছে। চাই ব্যাপক কর্মসংস্থান। তাই এ বারের আর্থিক সমীক্ষায় একটি আলাদা অধ্যায়ই রয়েছে কর্মসংস্থান নিয়ে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১১-র জুন থেকে ২০১২-র জুন পর্যন্ত সাত লক্ষ নতুন চাকরি হয়েছে। যার সিংহভাগ গিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিপিও-তে। অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রঘুরাম রাজন বলেন, “২০২১ সালে ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ৬৪%-এ গিয়ে পৌঁছবে। যেটা ২০০১-এ ছিল ৫৮%। ২০১১ থেকে ২০১৬-র মধ্যে ৬ কোটি ৩৫ লক্ষ তরুণ-তরুণী চাকরির খোঁজে নামবে।”

উস্কানি-বক্তৃতা: রেহাই বরুণের
উস্কানিমূলক বক্তৃতার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধী। লোকসভা ভোটের আগে নিজের কেন্দ্র পিলিভিটে উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার জন্য বরুণের বিরুদ্ধে মামলা হয়। কিছু দিন জেলও খাটেন তিনি। আজ আদালত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার পর বরুণ জানান, “বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা ছিল। আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।” বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অশোক সিঙ্ঘল বলেন, “বরুণ এমন কিছুই বলেননি, যাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হতে পারে।” আবার বরুণকে কটাক্ষ করে সিঙ্ঘল বলেন, “সংবাদমাধ্যমে প্রচারের ফলে বরুণ বড় নেতা হয়ে গেলেন!”

কমলো পৃষ্ঠাও
খরচ কমাতে মরিয়া অর্থ মন্ত্রক আর্থিক সমীক্ষা ছাপার খরচও কমাল। সমীক্ষার বইটি ৬০ পৃষ্ঠা কমানো হয়েছে। আর তাতে বেঁচেছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা রঘুরাম রাজন বলেন, “পাইপয়সা খরচ করার আগে খতিয়ে দেখতে হবে, তার প্রয়োজন আছে কি না।” তাঁর যুক্তি, শুধু খরচ নয়, এর ফলে কাগজ, কালি এমনকী পড়ার সময়ও বাঁচল।

দিল্লিতে মেয়েরা সুরক্ষিতই, দাবি
রাজধানীতে মেয়েরা মোটেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না। বুধবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনটাই জানালেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মুল্লাপল্লি রামচন্দ্রন। বলেন, এখন মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের কথা এত চোখে পড়ে তার কারণ মেয়েরা অভিযোগ জানাতে আর ভয় পান না। মন্ত্রীর আরও সাফাই, মেয়েদের নিরাপত্তার দিক থেকে দেখতে হলে রাজধানীর অবস্থা অন্য অনেক রাজ্যের থেকে বেশ ভাল।

সংঘর্ষে উত্তপ্ত মুম্বই
মঙ্গলবার রাতে রাজ ঠাকরের গাড়ির কনভয় লক্ষ্য করে ইট ছুড়েছিলেন কিছু এনসিপি সমর্থক। এর প্রতিবাদে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার বিক্ষোভের জেরে দিনভর উত্তপ্ত রইল মুম্বইয়ের পরিস্থিতি। চেম্বুর, কুরলা, বান্দ্রার কিছু জায়গায় গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টি করেন এমএনএস সমর্থকরা।

হায়দরাবাদ বিস্ফোরণে বন্দিকে জেরা
হায়দরাবাদে বিস্ফোরণের তদন্তে দমদম জেলে বন্দি জঙ্গি শেখ আমজাদ ওরফে খাজাকে বুধবার জেরা করেছে হায়দরাবাদ পুলিশের একটি দল। পুলিশি সূত্রের খবর, বিস্ফোরণ সম্পর্কে নতুন তথ্য দিতে পারেনি খাজা। এ দিন তাকে অন্য একটি মামলায় আলিপুর আদালতে তোলা হয়। খাজাকে কয়েক বছর আগে গ্রেফতার করেছিল হায়দরাবাদ পুলিশ। গত বছর জাল নোটের একটি মামলায় তাকে কলকাতায় আনা হয়। এ দিনই কলকাতায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-র প্রতিনিধিরা ওই বিস্ফোরণ নিয়ে লালবাজারে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফের সঙ্গে কথা বলেন। হায়দরাবাদের বিস্ফোরণের সঙ্গে এ রাজ্যের যোগসূত্র আছে কি না, তা জানতেই এনআইএ-র কলকাতা সফর। তবে কোনও ‘বঙ্গ-সূত্র’ মেলেনি।

নিয়োগে স্বচ্ছতা
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতে অনলাইনে আবেদন ও কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষার কথা ভাবছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বুধবার আলিপুরে সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরে বার্ষিক নিয়োগ সংক্রান্ত এক সম্মেলনে এই বিষয়ে আলোচনা হয়। ফৌজের নিয়োগ বিভাগের ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল শক্তি গুরুঙ্গ-সহ বাহিনীর অন্য শীর্ষ অফিসার এবং রাজ্যের কয়েক জন কর্তা উপস্থিত ছিলেন।

আত্মহত্যার চেষ্টা
মন্ত্রালয়ের ভিতরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন যৌন হেনস্থার শিকার এক মহিলা কনস্টেবল। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আর আর পাটিলের সঙ্গে দেখা করতে মুম্বই এসছিলেন ঔড়ঙ্গাবাদের বাসিন্দা ওই মহিলা। অভিযোগ, এক সিনিয়র অফিসারের হাতে নিগৃহীতা হয়েছেন তিনি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.