টুকরো খবর
মালিকানা নিয়ে ফের বিজ্ঞপ্তি বিশ্বভারতীর
প্রয়াত চিত্রকর মুকুল দে-র নাতি শিবশ্রী উকিলকে মারধরের ঘটনায় ফের তথ্য দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল বিশ্বভারতী। সেই জমি তাদের বলে মঙ্গলবার ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। এডুকেশনাল ইনোভেশন অ্যান্ড রুরাল রিকনস্ট্রাকশন-এর অধিকর্তা তথা অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন বলেন, “বিশ্বভারতীর জমির উপরে যে রাস্তা শিবশ্রীবাবু তাঁদের বলে দাবি করছেন সেটা বিশ্বভারতীর। জমি অধিগ্রহণ আইন ১৮৯৪ অনুযায়ী তৎকালীন বাংলা সরকার (১৯৪৬-৪৭) বিশ্বভারতীকে ওই জমি ১৯৪৮ সালে ২৫ মে হস্তান্তর করে। যা বর্তমান রাজ্য সরকারের ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের রেকর্ডে ওই জমি বিশ্বভারতীর দখলে আছে বলে উল্লেখও রয়েছে। তাঁরা দাবি করেছেন, ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রয়াত শিল্পীকে জায়গা দিয়েছিলেন। সেই দাবিও ভিত্তিহীন। কারণ, রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয়েছে ১৯৪১ সালে, আর জমি হস্তান্তর হয়েছে ১৯৪৮ সালে।” অন্য দিকে, শিল্পীর পরিবার বিশ্বভারতীর দাবি অস্বীকার করেছেন। নাতি সত্যশ্রী উকিলের দাবি, “আদালতের নির্দেশ ও জমির মালিকানা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে।” ১৯ ফেব্রুয়ারি শান্তিনিকেতনের সেবাপল্লি এলাকার সেই জমিতে খুঁটি পোঁতা নিয়ে প্রয়াত শিল্পীর পরিবারের সঙ্গে গণ্ডগোল বাধে বিশ্বভারতীর। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা আধিকারিক সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় সদলবলে এসে সেই খুঁটি উপড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। তাতে বাধা দিতে গিয়ে বিশ্বভারতীর কয়েক জন কর্মী ও আধিকারিকদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন মুকুল দে-র নাতি। বিশ্বভারতী অবশ্য শিবশ্রীবাবুর দাবি উড়িয়ে দিয়ে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে।

বিবেকানন্দ নিয়ে আলোচনা
সম্প্রতি স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়েও শান্তিনিকেতনে একটি আলোচনার আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তা ছিল বিশ্বভারতীর অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতি বিভাগ। ‘স্বামী বিবেকানন্দ ও আমাদের সমাজ’ শীর্ষক ওই আলোচনায় প্রধান বক্তা ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি শহরের রামকৃষ্ণ মিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বামী চেতনানন্দ। রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ, সমসাময়িক দুই যুগপুরুষের কর্মকাণ্ড নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। আজকের দিনে বিবেকানন্দের মতো মহাপুরুষেরা কতটা প্রাসঙ্গিক এবং দুই যুগপুরুষ রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দের দেখানো পথই সমাজ সংস্কারে একমাত্র পাথেয় বলে আলোচনায় একমত হন বক্তারা। আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্রভবনের অধিকর্তা তপতি মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে ছিলেন অধ্যাপক অমিয় দাশগুপ্ত, প্রণব মুখোপাধ্যায়, বিভাগীয় প্রধান মমতা রায়, আশা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

কালীদহে বন্যাত্রাণ শিবিরের ভিত্তিপ্রস্তর
বাসিন্দাদের স্বেচ্ছায় দান করা ১৫ কাঠা জমিতে মাড়গ্রাম থানার কালীদহে গড়ে তোলা হচ্ছে বন্যাত্রাণ শিবির। মঙ্গলবার তারই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল। ছিলেন জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি নিতাই মাল, রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অপূর্ব চৌধুরী ও পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকেরা। অপূর্ববাবু বলেন, “এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হল। রাজ্য সরকারের প্রাকৃতিক বিপর্যয় দফতর থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই বন্যাত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে।” আগামী তিন মাসের মধ্যে ওই শিবিরের কাজ শেষ বলে আশা করছে প্রশাসন। বন্যার সময় এলাকার মানুষ এই শিবিরে আশ্রয় নিতে পারবেন। ২০০০ সালের বন্যায় আশ্রয় না পেয়ে কালীদহ গ্রামের ৯ জন বাসিন্দা মারা গিয়েছিলেন।

আজ অনুষ্ঠান
ভারত ও চিনের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও মৈত্রী সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে উদ্যোগী হল উভয় দেশ। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর নাট্যঘরে বসন্ত ঋতুর প্রাক্কালে শুরু হচ্ছে চিন প্রতিনিধিদলের অনুষ্ঠান। বিশ্বভারতীর চিনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে এবং কলকাতায় অবস্থিত চিনা দূতাবাসের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান হচ্ছে। বিশ্বভারতীর চিনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বসন্ত উৎসব, একক নৃত্য-সহ একাধিক অনুষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষা-সংস্কৃতির আদানপ্রদানে উভয় দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। এই প্রতিনিধি দল নিউ দিল্লি ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠান করেছে।

মহাশ্মশান মেলা
খয়রাশোলের বড়রা গ্রামে সোমবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে চার দিনের ঝরে মহাশ্মশান মেলা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাবার, খেলনা, হস্তশিল্প-সহ নানা ধরনের স্টল, নাগরদোলায় জমজমাট এই মেলার উদ্দীপনা আর পাঁচটা গ্রাম্য মেলার মতোই।

ট্রেনে কাটা
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়পুর ও চাষরোড স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতার নাম উত্তরা মাহাতো (৬০)। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়ার জয়পুর থানার পালঞ্জটোলা-কেশরডি গ্রামে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.