জেলা গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে আধিপত্য অটুট রাখল বামেরা। রবিবার জলপাইগুড়ি জেলা গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ১২টি আসনের সব কটি জিতেছেন বাম সমর্থিত প্রগতিশীল প্রার্থীরা। ২০১০ সালে সমিতির আগের নির্বাচনে বাম প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেও এবারে প্রতিটি আসনেই তৃণমূলের প্রার্থীরা মনোয়ন পত্র জমা দেন।
বাম ও তৃণমূল প্রার্থীদের সরাসরি লড়াইয়ে বাম প্রার্থীরাই জয় পাওয়ায়, স্বাভাবিক ভাবেই এই জয়কে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে শিক্ষানুরাগী মহলের অসন্তোষ বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বাম প্রার্থীরা একতরফা জয় পেয়েছে, তার পরে এবারে সব আসনে লড়াই হওয়াই নৈতিক জয়।
এবারের জয় নিয়ে ১৯৮৬ সাল থেকে টানা বামেদের দখলেই রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতি। ৩ বছর অন্তর সমিতির নির্বাচন হয়। এবারের নির্বাচনে ৭৫৬ জন ভোটার থাকলেও ৩৯৯ জন রবিবার ভোট দিয়েছেন। বাম প্রার্থীর প্রাপ্ত সর্বোচ্চ ভোটের সংখ্যা ২৩৬, তৃণমূল প্রার্থীর সর্বোচ্চ ভোট ১৩৪। বাম প্রার্থীদের মুখপাত্র তথা পরিচালন সমিতির বিদায়ী সম্পাদক গৌতম গুহরায় বলেন, “প্রগতিশীল প্রার্থী এবং তৃণমূল প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধান দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সাধারণ সংবেদনশীল নাগরিকরা তৃণমূলকে প্রত্যাখান করেছেন। গ্রন্থাগারে সংবাদপত্র রাখা নিয়ে রাজ্য সরকারের ফতোয়া থেকে শুরু করে রাজ্য জুড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য এগুলি নিয়েই প্রচার করা হয়েছিল। পাঠকরা সব বিষয়েই আমাদের সমর্থন করেছেন।” তৃণমূলের হয়ে গ্রন্থাগারের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব ছিল শিক্ষা সেলের ওপরে।
শিক্ষা সেলের জেলার দায়িত্বে থাকা অমিত সাহা বলেন, “ভোটার তালিকায় বামপন্থীরা নিজেদের পরিবারের সব সদস্যদের নামই ঢুকিয়ে রেখেছিল। দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেই তারা এ সব করেছে। তবু এতদিন পরে প্রতিটি আসনে প্রার্থী দিয়ে লড়াই করতে পারাই তো নৈতিক জয়। আশা করছি, আগামীবার ফল ভাল হবে।” |