অপহরণের চার দিন পরে উদ্ধার হল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আয়ান রহমান। জলঙ্গি থানার নটিয়ালের আট বছরের আয়ানের বৃহস্পতিবার থেকে খোঁজ মিলছিল না। তদন্তে নেমে পুলিশ বুঝতে পারে সে অপহৃত হয়েছে। ফোনের সূত্র ধরে গত শুক্রবার পুলিশ অপহরণকারীদের মধ্যে ২ জনকে আটক করে।
|
আয়ান রহমান। |
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে আয়ানকে অপহরণ করার পর হরিহরপাড়ার মসুরডাঙা গ্রামের সুরাবুদ্দিন শেখের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “অপহৃত ছেলেটিকে রবিবার রাতে হরিহরপাড়ার মসুরডাঙা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ডোমকলের ধুলাউড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের ইস্রাফিল হক-সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় বেসরকারি একটি প্রাথমিক স্কুল থেকে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হয় তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্র। পর দিন তার বাবা অমিনুর রহমানের কাছে অপহরণকারীরা ফোন করে ১৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ওই ফোনের সূত্র ধরে গত শুক্রবার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে আজিরুল মণ্ডল ও সেলিম মণ্ডলকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। দুই ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া সূত্র ধরে পুলিশ হরিহরপাড়ার মসুরডাঙা গ্রামে হানা দেয়। গ্রামের সুরাবুদ্দিন শেখের বাড়ি থেকে রবিবার আয়ানকে উদ্ধার করে পুলিশ। অপহরণের ঘটনায় দলীয় প্রধান গ্রেফতার হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ছে কংগ্রেস।
মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস অবশ্য বলেন, “অপহরণের ওই ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেস দলের, বা রাজনীতির কোনও সর্ম্পক নেই। পারিবারিক কোনও বিবাদের কারণে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অপহৃত শিশু বাড়ি ফিরে আসায় আমরাও খুশি।” অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকার কয়েকটি স্কুলের ছাত্র ও অভিভাবকেরা সোমবার নাটিয়াল বাজারের কাছে বহরমপুর-সাগরদিঘি রাজ্য সড়ক ঘণ্টাখানেক অবরোধ করেন। |