|
|
|
|
স্কুলের মাঠে সভা জেনেই ফিরে গেলেন সুব্রত বক্সী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্কুলমাঠে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। তাই সভাস্থলের দোরগোড়ায় এসেও বক্তব্য না রেখে ফিরে গেলেন সাংসদ তথা রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সী। সোমবার এমনই ঘটনা ঘটল সবংয়ে। ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী - সমর্থকেরা এসেছিলেন সভায়। সুব্রতবাবু ফিরে যাওয়ায় তাঁরাও হতাশ। দলীয় নেতৃত্বের অবশ্য দাবি রাজ্য সভাপতি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেই সবং ছেড়েছেন। জেলা তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি বলেন, “সুব্রতদা বক্তব্য রাখেননি ঠিকই, তবে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছেন।” যদিও দলেরই এক জেলা নেতা মানছেন, “সবং আসার পথেই সুব্রতদা খবর পেয়েছিলেন, স্কুল বন্ধ রেখে স্কুল মাঠে সভা হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরেই তিনি ক্ষুব্ধ হন। এরপরই সভায় বক্তব্য না - রাখার সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে স্কুল মাঠে সভা হলে যদি বিতর্ক হয়, এই ভেবে ! ” সবং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে সোমবার স্থানীয় খেপাল প্রাথমিক স্কুল মাঠে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, এটি জনসভা নয়। কর্মী সভা। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনে দলের রণকৌশল কী হবে, দলীয় কর্মীদের কাজ কী, তা নিয়ে আলোচনা করতেই এই সভার আয়োজন। প্রস্তুতি ঠিকই ছিল। সভা শুরুর আগে ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী - সমর্থকেরাও চলে আসেন। কিন্তু, তাল কাটে সুব্রতবাবুর এসেও বক্তব্য না - রেখে ফিরে যাওয়ায়। যে স্কুলের মাঠে সভা হয়েছে, সেই খেপাল প্রাথমিক স্কুলে এদিন ক্লাস হয়নি। ছুটি ছিল। বিরোধীদের বক্তব্য, সভার জন্যই স্কুল ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। অমূল্যবাবুর দাবি, “সভার জন্য স্কুল বন্ধ ছিল না। সোমবার স্কুল ছুটি থাকবে বলে আগেই জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাই আমরা সভার আয়োজন করি।” দলের অন্দরে তাঁর ক্ষোভ, “সবং আসার পথে রাজ্য সভাপতিকে কেউ ভুল বার্তা দিয়েছেন। সেই বার্তা পেয়েই বক্তব্য না - রেখে কলকাতায় ফিরে গিয়েছেন সুব্রতদা।” যদিও এ নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সভাপতি বক্তব্য না রাখলেও কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। কথা বলেছেন। সুব্রতবাবু ফিরে গেলেও সভা অবশ্য হয়েছে। বক্তব্য রাখেন দুই বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি এবং শ্রীকান্ত মাহাতো, দলের দুই কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ এবং নির্মল ঘোষ প্রমুখ। তবে সভাস্থলে উপস্থিত থেকেও বক্তব্য রাখেননি দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায়। কেন? দলেরই এক সূত্র জানিয়েছে, বিতর্ক এড়াতেই সুব্রতবাবুর মতো অবস্থান নেন জেলা সভাপতি। তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, “মনে হচ্ছে, কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেই জন্যই রাজ্য সভাপতি - জেলা সভাপতি সভাস্থলে এসেও বক্তব্য রাখলেন না। তবে এমনটা না - হলেই ভালো হত। বিশেষত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে।” |
|
|
|
|
|