|
|
|
|
রাস্তা খারাপ, অনুষ্ঠানে না গিয়ে ফিরলেন সৌমেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্কুলে সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি উন্মোচন হওয়ার কথা ছিল সোমবার। প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করার কথা ছিল রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের। তিনি রওনাও দিয়েছিলেন। কিন্তু স্কুল থেকে ২ -৩ কিলোমিটার আগেই ‘রাস্তা খারাপ’ বলে অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে ফিরে যান। এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এমনই ঘটনা ঘটল খড়্গপুর ২ ব্লকের পলশা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাবল্লভচক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিনয় রায় বলেন, “মন্ত্রীর কথা শুনতে কত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। অথচ, মন্ত্রী স্কুল থেকে ২ -৩ কিলোমিটার আগেই রাস্তা খারাপ বলে ফিরে গেলেন। স্কুলের শিক্ষক -ছাত্র -অভিভাবক থেকে এলাকারবাসী ভীষণ ক্ষুব্ধ।” সৌমেনবাবুর বক্তব্য, “রাস্তা এত খারাপ ছিল যে গাড়ি ঘোরানোর উপায় ছিল না। আমার পরবর্তী অনুষ্ঠানে দেরি হয়ে যেত। সে জন্যই ফিরে গিয়েছি।”
রাধাবল্লভচক স্কুলের দুই প্রাক্তন শিক্ষক সহদেব মাইতি ও সুভাষচন্দ্র মাইতি স্কুলে দু’টি মূর্তি দান করেন। একটি রবীন্দ্রনাথের, অন্যটি সুভাষচন্দ্রের। আনুষ্ঠানিক ভাবে মূর্তি উন্মোচনের জন্য দু’দিন দুই মন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। রবিবার ছিল রবীন্দ্রনাথের মূর্তি উন্মোচন। সেদিন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদার আসার কথা ছিল। তিনি এসেছিলেনও। সোমবার ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মূর্তি উন্মোচনের কথা। এ দিনই মন্ত্রী রাস্তা খারাপ বলে স্কুলের কাছে এসেও ফিরে যান। ‘রাস্তা খারাপ’ বলে ফিরে যাওয়ায় ক্ষোভ বেড়েছে আরও বেশি। কারণ, পলশা গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে। ওই স্কুলের পরিচালন সমিতিও তৃণমূলেরই দখলে। রাস্তা না করার দায় পঞ্চায়েতেরই। উপপ্রধান বলেন, “মোরামের রাস্তা। রবিবার টানা বৃষ্টি হওয়ায় সামান্য কাদা তো হবেই। সর্বত্রই তো পাকা রাস্তা পাওয়া যায় না? তাছাড়াও ওই রাস্তা দিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই রবিবার স্কুলের অনুষ্ঠানে হাজির পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী। তাহলে উনি কেন সেই রাস্তায় আসতে পারলেন না। এ ভাবে মন্ত্রী চলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ তো আমাদের কাছেই জবাবদিহি চাইবেন। কী উত্তর দেব।” বাম আমলেও ওই পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছিল তৃণমূল। এলাকায় দলের সংগঠনও চাঙ্গা। বর্তমানে রাজ্যে ক্ষমতায় তৃণমূল। এই অবস্থায় এলাকার স্কুলের অনুষ্ঠানে দলের মন্ত্রী রাস্তা খারাপ বলে ফিরে যাওয়ায় চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মন্ত্রী না আসায় কিছুটা ছন্দপতন হলেও যথারীতি অনুষ্ঠান হয়। সূচি মেনে মূর্তির আবরণ উন্মোচন করা হয়। মন্ত্রীর পরিবর্তে প্রধান অতিথির পদ অলঙ্কৃত করেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ -প্রধানই। |
|
|
|
|
|