‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্পে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের ভালুকা বিল সংস্কারের পাশাপাশি পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। পরিযায়ী পাখিদের জন্য গড়া হবে বট ও অশ্বত্থ গাছের বন। বছরভর জলের জন্য বিলে একটি সেতু সংস্কার করে চেকড্রাম গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রকল্পের নোডাল অফিসার কৌশিক সিংহ বলেন, “একশো দিনের প্রকল্প থেকে প্রথম দফায় ১ কোটি টাকা খরচ ধরে গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। বিলে ধরে রাখা জলে শুখা মরসুমে চাষিরা সেচের সুবিধা পাবে। মৎস্যজীবীরাও উপকৃত হবে। এ ছাড়া বনসৃজনের মাধ্যমে ভালুকাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।” |
|
|
বর্ষায় (বাঁ দিকে) ও শীতে (ডান দিকে) ভালুকা নদী। জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত
এলাকায় ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ চলছে। ছবি দু’টি তুলেছেন অমিত মোহান্ত। |
|
হিলির জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভালুকা এলাকায় ৩ কিমি দীর্ঘ বিলটি শ্রীনদীর জলে পুষ্ট। জামালপুর এলাকায় ওই নদী বাংলাদেশ থেকে এসে আবার বাংলাদেশে গিয়ে পড়েছে। নাব্যতা হারানো নদী বর্ষায় ফুলে জামালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করে। গ্রীষ্মে জল থাকে না। শীতের সময় শ্রীনদীর টানে ভালুকা বিল প্রায় শুকিয়ে যায়। জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “বিল সংস্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য রাস্তা তৈরি করা হবে। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে।”
জামালপুর থেকে হিলি ৮ কিমি। বালুরঘাট ১৬ কিমি। জামালপুরের পাশে বাংলাদেশ সীমান্ত। পর্যটকরা এখানে এসে সীমান্ত দেখারও সুযোগ পাবেন। নোডাল অফিসার কৌশিকবাবু জানান, ভালুকা বিলের পথে পঞ্চায়েত থেকে দেড় কিলোমিটার ইটসোলিং রাস্তা হবে। সেতুতে চেকড্রাম তৈরির কাজও শুরুর চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে ভালুকা বিল ছাড়াও ১ কোটি টাকায় বংশীহারী ব্লকে মহিপাল দিঘি সংস্কার এবং কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা এলাকার জামির বাড়িতে ৪টি বড় পুকুর খননের কাজ শুরু হয়েছে। এ বছরে ১৪৬১টি পুকুর ও জলা সংস্কার ও খনন হয়েছে। নোডাল অফিসার বলেন, “ওই প্রকল্পে এ বছর ১৫ কোটি ৫৪ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা খরচ হয়। আগামী বছর আরও কয়েকটি দিঘির সংস্কার করা হবে। |