প্রয়াত শিক্ষিকার স্মৃতিতে স্কুলে কক্ষ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন তাঁর ভাই-বোন। কিন্তু আবেদন করার পরে প্রায় ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে এখনও অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ।
আসানসোল রামধনি মোড় ও এনএস রোডের সংযোগস্থল এলাকার বাসিন্দা কিশোরকুমার দত্ত ও আভা দত্ত জানান, তাঁদের দিদি জ্যোৎস্না দত্ত ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিশীলায় বীণাপানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় মারা যান গত বছর। তার কিছু দিন পরে গত ১২ অগস্ট তাঁরা স্কুল কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করেন, দিদির স্মৃতিতে তাঁরা ওই স্কুলে একটি পাঠাগার গড়তে প্রথম পর্যায়ে এক লক্ষ টাকা দিতে চান। ব্যয় বেশি হলে সেই টাকাও দিতে তাঁরা রাজি। স্কুল সূত্রে জানা যায়, পরিচালন সমিতির বৈঠকে প্রস্তাব পেশ করে পাঠাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এর পরে প্রধান শিক্ষক তথা ১৮ নম্বর ওয়ার্ড শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কমিটির সম্পাদক গঙ্গাধর লায়েক গত ২২ অগস্ট এবং ১০ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় অবর পরিদর্শকের মাধ্যমে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছে অনুমতির আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠান।
কিশোরবাবুদের দাবি, এরই মধ্যে মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কক্ষের নকশা অনুমোদনের লিখিত আবেদন জানান তাঁরা। গত ২৪ সেপ্টেম্বর মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়ে জানান, পুরসভার আপত্তি নেই। তবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অনুমতি প্রয়োজন। মেয়র ওই চিঠির প্রতিলিপি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছেও পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এখনও সেই অনুমতি না মেলায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ কিশোরবাবু ও আভাদেবীর। তাঁদের ক্ষোভ, “ইচ্ছা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতির অভাবে কাজ করতে পারছি না।” স্থানীয় কাউন্সিলর তথা কংগ্রেস নেতা শিবদাস চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতায় অনেক কাজ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে প্রশাসন তৎপর হলে আমরা খুশি হব।” প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান দেবাশিস দাস অবশ্য বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আবেদনকারী বা স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। অনুমতি পেতে অসুবিধা হবে না।” |