ইংরেজবাজার উপনিবার্চনকে ঘিরে মালদহ সরগরম হয়ে উঠেছে। দলীয় প্রার্থীদের জেতাতে কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম হেভিওয়াট নেতাদের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে শহরে। আগমী ২৩ ফেব্রুয়ারি এই আসনে ভোটন নেওয়া হবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় দুই প্রতিমন্ত্রী দীপা দাসমুন্সি ও আবু হাসেম খান চৌধুরীকে নিয়ে সকাল থেকে মালদহে রোডশো করে কংগ্রেস। সভা করে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। আবার তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে দিয়ে ছোট ছোট পথসভা করায়। সিপিএম বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূযর্কান্ত মিশ্র, রবীন দেবকে এনে প্রচার চালিয়েছে।
এই দিন সকালে কংগ্রেসের বিশাল র্যালিতে ঝলঝলিয়া এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের বহু কর্মী ছিলেন বলে কংগ্রেস নেতারাই দাবি করেছেন। এতে চিন্তায় পড়লেও মুখে কিছু বলতে নারাজ তৃণমূল নেতারা। দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রিয় সাহা বলেন, “এ রকম কোনও খবর আমার জানা নেই। হতেও পারে।” কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দীপা দাসমুন্সি জানান, এই সরকার যেভাবে রাজ্য চালাচ্ছে তাতে রাজ্যের ভবিষ্যত অন্ধকার। কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা খরচ হচ্ছে না। সরকার উৎসব নিয়ে মেতে রয়েছে। আগামী দিনে রাজ্য সরকারের কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। সমস্ত সরকারি মঞ্চ রাজনৈতিক মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অডিট রিপোর্টে গরমিল করা হচ্ছে। আমরা সবদিকে নজর রাখছি। মানুষকেও সচেতন হতে বলছি।
অমৃতিতে একটি সভায় কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী বলেন, “এখন মা মাটি সরকারের মা-ও নেই, মানুষও নেই। এখন শুধু মাটি পড়ে রয়েছে। তাই ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে একের পর এক উৎসব হচ্ছে। কংগ্রেসকে দুর্বল করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে মন্ত্রী করেছেন। মানুষ উপ নির্বাচনে এর জবাব দেবেন বলে আমাদের আশা।”
ছোট ছোট সভার ফাঁকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সরকারের সমালোচকদের তীব্র নিন্দা করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা বা আমাদের নেত্রী ভুল করেননি। উপ নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা ভোটে আমরা প্রমাণ করে দেব। নেত্রীকে ম্লান করার যারা অপচেষ্টা করছেন, তারা ভুল প্রমাণিত হবেন।” প্রচার মাধ্যমেরও সমালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী। |