আগামী ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে কোন কোন পদ সংরক্ষণ করা হবে, তার খসড়া তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। কাল, বৃহস্পতিবারই তা প্রকাশ পাওয়ার কথা।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তারাই জেলা পরিষদগুলির ক্ষেত্রে তালিকা প্রকাশ করবে। পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের হয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সেই কাজ করবে।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মোট কতগুলি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে, তার খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল গত ৩ ডিসেম্বর। কিন্তু তাতে কোন কোন পদ সংরক্ষণ করা হবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সেই তালিকার বিষয়ে মতামত বা আপত্তি জানানোর জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপত্তি মেনে তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, আপত্তিগুলি ভিত্তিহীন। সেগুলি বিবেচনা করা হয়নি।
সব দিক বিবেচনা করে এ বার চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ-সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান এই পদগুলির কোনটি কী ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে তা এই তালিকায় থাকছে। এমনিতেই এ বার ত্রিস্তরের প্রতিটি স্তরে পঞ্চাশ শতাংশ পদ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। তার উপরে রয়েছে তফসিলি জাতি এবং অন্যান্য পশ্চাৎপদ জনজাতির জন্য সংরক্ষণ। আসন সংরক্ষণ এবং পদ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও সেই নীতিই অনুসরণ করা হয়েছে।
কোন কোন পদ সংরক্ষণের আওতায় থাকছে, আপাতত সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই। এই তালিকা প্রকাশের পরেই দলগুলি প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজে হাত দিতে পারবে। সংরক্ষিত পদের তালিকা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। কোন দল কাকে সভাধিপতি, সভাপতি বা প্রধান পদে প্রার্থী করবে, সেই হিসাব উল্টে যেতে পারে সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশের পরে। তবে খসড়া তালিকাতেও আপত্তি বা মতামত জানানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। |