|
|
|
|
স্মৃতি উস্কে মমতা, ভুলব না নন্দীগ্রাম |
আনন্দ মণ্ডল ও সুব্রত গুহ • খেজুরি |
নিজের নাম ভুলে যেতে পারেন, নন্দীগ্রাম ভুলবেন না সামনে পঞ্চায়েত ভোট বলেই হয়তো খেজুরির প্রশাসনিক জনসভা থেকেও এমনই স্লোগান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বারবার উস্কে দিলেন ছ’বছর আগের সেই রক্তাক্ত ঘটনার কথা। মমতার কথায়, “ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম।” ‘পরিবর্তনের আঁতুড়ঘর’ নন্দীগ্রাম। এখানকার জমি আন্দোলনের সূত্রেই ২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরে জিতেছিল তৃণমূল। ‘ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’র সেই আন্দোলনে বাম আদর্শের অনেকেও ছিলেন। ফলে, স্লোগানগুলোও ছিল কতকটা বাম-ঘেঁষা। যেমন মমতার কণ্ঠে “ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম, নন্দীগ্রাম লহ প্রণাম” অনেককে মনে পড়িয়েছে ‘তোমার নাম, আমার নাম ভিয়েতনাম, ভিয়েতনাম’। কিন্তু আবার কেন সেই নন্দীগ্রামে ফিরতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। |
|
খেজুরিতে। —নিজস্ব চিত্র |
ঘটনাচক্রে তেখালি সেতুর পাশে খেজুরির দিকে শেরখাঁ চকে এ দিন বিকেলে যেখানে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী, সেখানেই গুলি চলেছিল ২০০৭-এ। নন্দীগ্রাম ও খেজুরির সংযোগস্থল এই জায়গাটাতেই রয়েছে জননী ইটভাটা, যেখানে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরা পড়েছিলেন সিপিএম কর্মীরা। নন্দীগ্রাম হয়ে সেখানে পৌঁছে বক্তব্যের গোড়ায় সেই সব ‘রক্তাক্ত’ দিনের কথা মনে করিয়ে দেন মমতা। বলেন, “সেই সময় আমরা যখন তেখালি সেতুতে এসেছিলাম, তখনও গুলি চলছিল।”
এর পরে বারেবারেই নন্দীগ্রামের সেই রক্তাক্ত দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং সেই সূত্রে বিঁধেছেন বিরোধীদের। বলেছেন, “সিপিএম গুলি চালানো ছাড়া আর কিছু জানে না। তবে মানুষ আর লাশ দেখতে চান না।” নন্দীগ্রাম-পর্বে বহু মানুষকে মেরে হলদি নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। তবে নন্দীগ্রাম মামলা প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। এ দিনের সভায় সম্মান জানানো হয় নন্দীগ্রামের ‘শহিদ’ পরিবারের সদস্যদের। |
|
পাশাপাশি শিউলি-শুভেন্দু। ছবি: পার্তপ্রতিম দাস। |
কেন ফিরে যাওয়া নন্দীগ্রাম-প্রসঙ্গে? খোদ মমতার কথায়, “নন্দীগ্রাম আমার রাজনৈতিক আন্দোলনের আশ্রয়।” লক্ষ্মণ শেঠের ব্যাখ্যা, “ফের ভোট আসতেই পুরনো ঘটনা সামনে এনে মানুষের সহমর্মিতা আদায় করতে চাইছে ওরা।” নন্দীগ্রাম-স্মৃতি ঝালিয়ে নেওয়া বা উস্কে দেওয়ার বাইরে জেলাশাসকের দেওয়া তালিকা দেখে মুখ্যমন্ত্রী পড়েছেন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের খতিয়ান। সরাসরি পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করেননি। তবে হাজার চল্লিশের জমায়েতের সামনে বলেছেন, “আগামী দিনে আমাদের আশীর্বাদ দিন, দোওয়া দিন। আমরা লাফিয়ে লাফিয়ে কাজ করব।” এর বাইরে বিতর্ক বেধেছে মঞ্চে ঘোষকের ভূমিকায় এক সরকারি আধিকারিকের বক্তব্যে, যিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাধীনতা পরবর্তী সফলতম মুখ্যমন্ত্রী।”
|
পূর্বের উন্নয়নে ফের ‘কল্পতরু’ মুখ্যমন্ত্রী |
গাদাগাদা কাজ করছি। তবে সব
করতে একটু তো সময় লাগবে। |
৫ বছরে পঞ্চাশ হাজার পুকুর কাটব বলেছিলাম,
পৌনে দু’বছরেই ৪২ হাজার পুকুর কেটে ফেলেছি। |
নতুন নিযুক্ত শিক্ষকদের প্যারেড |
সাইকেল বিলির পরে |
|
পূর্ব-ঘোষিত প্রকল্পের হাল |
• নন্দীগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য ভবন
• নন্দীগ্রামে মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল
• হরিপুরে কিষানমাণ্ডি
• নন্দীগ্রামে স্টেডিয়াম
• জেলিংহ্যামে রেলের যন্ত্রাংশ
• নয়াচরে শিল্পতালুক |
• সমীক্ষা ও পরিকল্পনাতে আটকে
• সমীক্ষা ও পরিকল্পনাতে আটকে
• কাজ শুরু হয়নি
• কাজ শুরু হয়নি
• কোনও কাজ হয়নি
• ছাড়পত্রের গেরোয় আটকে |
|
|
|
|
ঘোষণা আজ |
• নয়াচরে সাড়ে চার হাজার একর জমিতে
৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে শিল্প
• নয়াচরে মাতঙ্গিনী পর্যটন তালুক
• কাঁথিতে কাজুবাদাম শিল্পের ক্লাস্টার
• মাদুর, বাঁশ, ছোবড়ার কুটিরশিল্প
• এগরা, কাঁথি ২ ও নন্দীগ্রামে কৃষিবাজার
• নন্দীগ্রামে বাইপাস রাস্তা |
• দিঘায় ৪০টি কটেজ তৈরি
• মহিষাদল রাজবাড়িতে পর্যটনকেন্দ্র
• পাঁশকুড়া ফুলবাজারে বহুমুখী হিমঘর
• কেন্দেমারিতে জেটি-পোল্টুন
• তালপাটিতে উপকূল থানা
• জেলায় পৃথক মৎস্য গ্রাম
• দিঘায় সরকারি বরফকল |
|
|
ছবি: পার্তপ্রতিম দাস। |
|
|
|
|
|
|