নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই অরুণাচলের উজানি সুবনসিরি জেলায়, খোলা বাজারে বিকোচ্ছে বিপন্ন প্রজাতির বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর মাংস। দাপোরিজুর বাজারে এই ধরণের মাংস বিক্রি হওয়ার ঘটনায় সরব পশুপ্রেমীরা। দাপোরিজু এলাকায় সাই দোনি উৎসবে শিকারের ঘটনা নিয়ে শোরগোল হয়। পশুপ্রেমী ও রাজ্য বন দফতর স্থানীয় মানুষের মধ্যে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াবার জন্য সভা-সমাবেশও করেন। কিন্তু কাজের কাজ
হয় নি। |
দাপোরিজুর বাজারে বুনো-মাংসের অবাধ বিক্রি। ছবি: উজ্জ্বল দে |
দাপোরিজুর প্রাত্যহিক বাজারেই বিক্রি হচ্ছে সজারু, নানা ধরণের হরিণ, কাঠবিড়ালি, উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি, ফেজ্যান্ট এমন কী রাজ্যের প্রধান পাখি, ধনেশের মাংসও। স্কুলের বাচ্চারা চিড়িয়াখানায় নয়, বিভিন্ন ধরণের বিরল প্রাণী চোখের সামনে দেখতে নিয়ম করে বাজারে আসছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শিকারিরা জঙ্গলের পাশের গ্রামে পশুগুলি বিক্রি করে দেয়। গ্রামবাসীরা সেগুলি চড়া দরে বাজারে বিক্রি করতে আনেন। অভিযোগ উঠেছে, কাজ আদায়ের জন্য সরকারি কর্তাদের কাছে ‘ভেট’ হিসাবেও বন্যপ্রাণীর মাংস পাঠানো হচ্ছে। রাজ্যের উপ-মুখ্য বনপাল পি রিংগু বলেন, “আমরা দাপোরিজুর ডিএফওকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। এই ধরণের ঘটনা বন্ধ করতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।”
অন্য দিকে, অসমের মাজুলি দ্বীপের পূর্ব দিকে, জলাভূমিতে বিষক্রিয়ার ঘটনায় শঙ্কিত বন বিভাগ। বন বিভাগ সূত্রে খবর, সম্প্রতি দক্ষিণপাট সত্রের কাছে, জলাজমিতে চারটি মোষের দেহ মেলে। মোষগুলি বিষক্রিয়ার মারা গিয়েছে বলে গো-পালকরা বন বিভাগে অভিযোগ জানান। তদন্ত চালাতে এসে বনকর্মীরা দেখেন ওই জলার আশাপাশে বহু পরিযায়ী ও স্থানীয় পাখির মৃতদেহও ছড়িয়ে রয়েছে। কী ভাবে জলে বিষ ছড়ালো তা জানতে জলের নমুনা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। |