অগ্নিদগ্ধ বধূর মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্যামপুর |
এক গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল হাওড়ার শ্যামপুরের দেউলি গ্রামে। মৌমিতা জানা (১৮) নামে ওই বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তাঁর স্বামী, শ্বশুর এবং দেওরকে কোমলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বেরোতে বাধা দেয় জনতা। গোলমালের আশঙ্কায় হাসপাতালের গেট বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে জনতার সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের। আহত হন জনা ছ’য়েক পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয় র্যাফ। পুলিশকে আক্রমণ করার অভিযোগে সাত জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের অভিযোগে ওই বধূর স্বামী- শ্বশুর, দেওরকেও ধরেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে দেউলি গ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস জানার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মৌমিতার। তাঁর বাপের বাড়ি রামেশ্বরপুর গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে মৌমিতা অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁকে নিয়ে স্বামী-শ্বশুর-দেওরেরা কোমলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আসেন। সেখানে চিকিৎসকরা মৌমিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওই বধূর বাপের বাড়ির এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা হাজির হন ওই হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গেট বন্ধ করে দিলে গ্রামবাসীরা ওই তিন জনকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি তোলেন। হাসপাতালের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। হাজির হয় বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ।
|
হাতুড়ে চিকিৎসক খুনে গ্রেফতার ১
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
খানাকুলের হাতুড়ে চিকিৎসক খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম পান্নালাল পাল। তিনিও পেশায় একজন হাতুড়ে চিকিৎসক। বাড়ি স্থানীয় বনহিজলি গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকেই চিকিৎসার কাজ শিখেছিলেন সঞ্জয় চক্রবর্তী নামে নিহত ওই হাতুড়ে চিকিৎসক। পেশাগত কারণেই তাঁকে অন্য হাতুড়ে চিকিৎসকেরা মিলে খুন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল নিহতের পরিবারের। পান্নালালকে মঙ্গলবার আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। খুনের ঘটনায় জড়িত আরও দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে খানাকুলের মমকপুর গ্রামের রাস্তার ধারে পড়েছিল সঞ্জয়ববাবুর অগ্নিদ্বগ্ধ মৃতদেহ। গলায় ফাঁসের দাগ ছিল বলে জানায় পুলিশ।
|
কোন্নগরে ধৃত সিপিএম নেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোন্নগর |
তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা মারার ঘটনায় পুলিশ সিপিএম নেতা শিশির চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করল। বুধবার শ্রীরামপুরের এসিজেএম আদালতে তাঁকে তোলা হলে বিচারক ৭ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সিপিএম জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “স্থানীয় একটি স্কুল নির্বাচনে আমাদের নেতা কর্মীদের মারধর করা হয়েছিল সম্প্রতি। শিশিরবাবু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই ঘটনায়। আমাদের নেতার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হল।” |