হুমায়ুনের হুমকি, নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রাণিসম্পদ দফতরের প্রতিমন্ত্রী হুমায়ুন কবীর টেলিফোনে ‘খুনের হুমকি’ দেওয়ার পরেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একটি বেসরকারি সংস্থার অন্যতম অধিকর্তা সন্তু সিংহ। বুধবার সেই মামলার শুনানির পরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সন্তুবাবুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকে। সন্তুবাবুর বাড়ি ওই জেলারই বহরমপুরে। বিচারপতি এই দিন জানিয়ে দিয়েছেন, সন্তুবাবুর যদি কোনও ক্ষতি হয়, তা হলে তার জন্য দায়ী থাকবেন পুলিশ সুপারই। পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর অবশ্য বলেন, “আদালতের রায় এখনও হাতে আসেনি। হাতে পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করা হবে।” বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “রাজ্যের এক মন্ত্রী প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন, এটাই লজ্জার। তার পরে যাকে সেই হুমকি দিয়েছেন, তাঁর জন্য পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে, এটা চরম লজ্জা। রাজ্যের প্রশাসন কোথায় নেমে এসেছে, এটা তারই প্রমাণ।”
হুমায়ুন কবীর সন্তু সিংহ
ওই জেলারই রেজিনগর থেকে কংগ্রেসের টিকিটে গত বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন হুমায়ুন কবীর। তবে গত ১৪ নভেম্বর তিনি দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময়ে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেন। ২১ নভেম্বর তিনি প্রাণিসম্পদ দফতরের প্রতিমন্ত্রী হন। সন্তু সিংহের আইনজীবী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, মন্ত্রী হওয়ার আগে হুমায়ুন একটি বেসরকারি সংস্থার অন্যতম অধিকর্তা ছিলেন। সেই সংস্থাতেই অন্যতম কর্তা ছিলেন সন্তুবাবুও। ওই সংস্থার টাকা নয়ছয় করা হয়েছে অভিযোগে এর পরে মতান্তর ঘটে হুমায়ুন ও সন্তুর মধ্যে।
রবিউল ইসলাম বলেন, “গত ২২ ডিসেম্বর হুমায়ুন কবীর সন্তুবাবুকে টেলিফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেন। সন্তু পুলিশের কাছে সেই অভিযোগ জানান। কিন্তু পুলিশ প্রাথমিক তদন্তও করেনি। এর পরে আবার তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। ২৮ ডিসেম্বর সন্তুবাবুও আবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ এফআইআর নিতে রাজি হয় না।” পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে নিজের নিরাপত্তা এবং ‘খুনের হুমকি’র ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে গত ২ জানুয়ারি সন্তুবাবু কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সন্তুবাবুর আইনজীবী বিচারপতিকে বলেন, দু’জনের মোবাইল কললিস্ট দেখলেই হুমায়ুন যে কত বার ফোন করেছেন দেখা যাবে।
আইনজীবী রবিউল বলেন, “আদালতে পুলিশের পেশ করা তদন্ত রিপোর্ট দেখার পর বিচারক ওই রিপোর্টের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তদন্তে পুলিশের গাফিলতির কথাও তিনি বলেন। ফের পুলিশকে তদন্ত করে ১৯ ফেব্রয়ারির মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন বিচারপতি। মন্ত্রীর সঙ্গে সন্তুর কথাবার্তার সিডি পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার জন্য বিচারক আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।” মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর এই প্রসঙ্গে বলেন, “কোর্টের রায় আমি এখনও হাতে পাইনি। হাতে পেলে যা বলার বলব।” ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর কেন্দ্র রেজিনগরে উপনির্বাচন। হুমায়ুন এ বার তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.