করলা বাঁধের নিরাপত্তা নিয়ে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুরসভার চেয়ারম্যান। শুক্রবারই জলপাইগুড়ি জেলাশাসক ও পুরসভার চেয়ারম্যানের বৈঠকে বাঁধের নিরাপত্তা নিয়ে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে জেলা প্রশাসনের তরফে পুরসভাকে সরকারিভাবে বাঁধে আলো লাগানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। পুরসভার প্রস্তাব অনুযায়ী বাঁধে স্থায়ী পুলিশ চৌকি বসানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। আগামী বৈঠকে পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাঁধের কোন জায়গায় পুলিশ চৌকি বসবে তাও চিহ্নিত করা হবে। পুরসভা পুলিশ চৌকির পরিকাঠামো তৈরি করবে বলে স্থির হয়েছে। জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “বাঁধের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। বিষয়টি নিয়ে দেরি করতে চাইছি না। দ্রুত আরেকটি বৈঠক করা হবে। বৈঠকে পুলিশ সুপারও থাকবেন। পুরসভা বাঁধের আলো এবং স্থায়ী পুলিশ চৌকির পরিকাঠামো তৈরির ব্যবস্থা করবে।” গত ২৪ জানুয়ারি করলা বাঁধের জেলাশাসকের দফতরের পিছনের এলাকায় নদীর পাঁকে মুখ গোঁজা অবস্থায় এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। আগের রাতে তাকে বাঁধে নিয়ে এসে এক যুবক শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে। ফাঁকা বিয়ারের বোতলও উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পরেই করলা ও লাগোয়া তিস্তা বাঁধের নিরাপত্তা নিয়ে শহর জুড়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নড়েচরে ওঠে প্রশসানও। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “অন্য একটি বিষয়ের বৈঠকে জেলাশাসক বাঁধের নিরাপত্তার প্রসঙ্গটি তোলেন। জেলাশাসকের মত আমরাও বাঁধের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে। প্রশাসনের প্রস্তাব মত বাঁধে আলোর ব্যবস্থা পুরসভাই করে দেবে। পুলিশ চৌকির পরিকাঠামোও তৈরি করবে পুরসভা। এবিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।” পাশাপাশি, বাঁধে পার্ক বা পর্যটনের ব্যবস্থা করলে নিরাপত্তা বাড়বে বলে জানিয়ে এদিন ফের প্রশাসনকে প্রস্তাব দিয়েছে পুরসভা। বাঁধের ওপরে রাস্তাও তৈরি করতে চাইছে পুরসভা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী বৈঠকেই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। |