৩০ মার্চ পর্যন্ত সময় রাজ্যকে
পরিবহণে পেনশন কই: হাইকোর্ট
দালতের নির্দেশ না-মেনে প্রাক্তন পরিবহণ-কর্মীদের পেনশন বন্ধ রাখায় রাজ্যের পরিবহণ দফতরকে হুঁশিয়ারি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অবসরকালীন পাওনা মেটানোর জন্য ৩০ মার্চের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছেন, অবিলম্বে বকেয়া না-মেটালে ও পেনশন চালু না-করলে রাজ্য সরকার আদালতের ‘অন্য মূর্তি’ দেখবে।
আদালত কী করতে পারে, তারও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন বিচারপতি বিশ্বাস। কী রকম?
বিচারপতি বলেছেন, তিনি পরিবহণ দফতরের আয়-ব্যয়ের হিসেব কোর্টে পেশ করতে বলতে পারেন। মনে করলে স্পেশ্যাল অডিটের নির্দেশ দিতে পারেন। কর্মরত পরিবহণ-কর্মীদের বেতনও ঠিক সময়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ দিন।
ছ’মাস আগে হাইকোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল, পরিবহণ-কর্মীদের পুরো অবসরকালীন পাওনা যেন কড়ায়-গণ্ডায় চুকিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার তখন হাইকোর্টকে জানিয়েছিল, অবিলম্বে পেনশন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু ছ’মাস পরেও পেনশন না-মেলায় অবসরপ্রাপ্ত পরিবহণ-কর্মী সাধনচন্দ্র নিয়োগী-সহ শতাধিক ব্যক্তি আদালত অবমাননার মামলা করেছেন। তাতেই রাজ্যকে এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বাস।
পরিবহণে বকেয়া পেনশন ঘিরে আইনি বিবাদের সূত্রপাত গত জুনে, যখন রাজ্যের বিভিন্ন পরিবহণ নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা পেনশন ও বকেয়া পাওনার দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। এমন মামলার সংখ্যা শতাধিক। সেগুলি চলাকালীন সরকারের তরফে বার বার বলা হয়েছিল, চরম আর্থিক সঙ্কটের দরুণ প্রাপ্য মেটানো যাচ্ছে না। কিছু দিনের মধ্যে সবপাওনা মেটানোর সরকারি প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। ২০১২-র ২৪ জুলাই বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস রায় দিয়ে বলেন, আর্থিক সঙ্কটের যুক্তিতে অবসরকালীন প্রাপ্য ও পেনশন আটকানো যায় না। অবিলম্বে তা মেটানোর নির্দেশ দেন তিনি। রাজ্য সরকার ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চে অবশ্য আগের রায়ই বহাল রয়েছে।
আর এ বার সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছে। এ দিন যার শুনানিতে রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি পান্তু দেবরায় আরও একটু সময় চেয়েছেন। “চারশো জনের তালিকা তৈরি হয়েছে। অন্যদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।” সওয়ালে বলেন তিনি। বিচারপতি বিশ্বাস জানিয়ে দেন, ৩০ মার্চের মধ্যে অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন, গ্রাচুইটি, লিভ এনক্যাশমেন্ট-সহ যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। বর্তমান পরিবহণের কর্মীদের বেতনও দিতে হবে সময় মতো।
পাশাপাশি আদালতের হুঁশিয়ারি: নির্দেশ পালিত না-হলে পরিবহণ দফতরের সব হিসেবপত্র আদালতে পেশ করতে হতে পারে। হিসেব দেখে সন্তুষ্ট না-হলে বিশেষ অডিটের ব্যবস্থা করতে পারে হাইকোর্ট।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.