|
|
|
|
জমি জটে থমকে স্টেডিয়াম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নয়াগ্রামে কলেজের সঙ্গেই স্টেডিয়াম তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজ তৈরি শুরু হলেও জমি-জটে আটকে গিয়েছে স্টেডিয়ামের কাজ। প্রশাসন সূত্রে খবর, চিহ্নিত জমি স্টেডিয়াম তৈরির উপযোগী না হওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি। পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তরুণ চক্রবর্তী বলেন, “জমির পরিমাণ ঠিক থাকলেও মাপে সমস্যা রয়েছে।” অন্য জমি দেখছে প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) অরিন্দম দত্তের বক্তব্য, “একই মৌজায় আর একটি জমি দেখা হয়েছে। তা স্টেডিয়াম তৈরির উপযোগী কি না জানতে চাওয়া হয়েছে।”
ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রথম জঙ্গলমহল সফরেই নয়াগ্রামে স্টেডিয়ামের কথা ঘোষণা করেন। এ জন্য খড়িকামাথানিতে ৫.৬ একর জমি দেখে প্রশাসন। পূর্ত দফতর মাপজোক করতে গিয়ে দেখে জমিটি দৈর্ঘ্যে ১৮৫ মিটার ও প্রস্থে ৮৫ মিটার। অথচ স্টেডিয়ামের জন্য দৈর্ঘ্যে ১৬৫ মিটার ও প্রস্থে ১৪০ মিটার জমির প্রয়োজন। পরিমাণ ৫.৬ একর হলেও চলবে। পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার পরেই ফের জমি দেখার কাজ শুরু করে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। ওই মৌজাতেই আরও একটি জমি দেখা হয়েছে। সেই জমি স্টেডিয়াম তৈরির উপযোগী কি না তা জানতে চেয়ে পূর্ত দফতরকে চিঠি দিয়েছে প্রশাসন। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা চাইছেন জমিটি আগে ক্রীড়া দফতর নিয়ে নিক। তারপর ক্রীড়া দফতর পূর্ত দফতরকে এ বিষয়ে যা জানানোর তা জানাক। এই ব্যাপারে সরাসরি পূর্ত দফতর পদক্ষেপ করতে চাইছে না।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ও নয়াগ্রাম দু’টি জায়গায় স্টেডিয়াম তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও কলেজ, নার্সিং কলেজ, আইটিআই, পিটিটিআই, সেতু, জলপ্রকল্প-সহ গুচ্ছ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাজের তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। |
|
|
|
|
|