|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর |
হচ্ছে নয়া কেন্দ্র |
হাত বাড়ালেই দমকল |
দেবাশিস দাস |
অবশেষে স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে রাজপুর-সোনারপুরের বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি মেনে এই অঞ্চলে একটি দমকলকেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
রাজপুর-সোনারপুর এলাকায় দ্রুত বাড়ছে জনসংখ্যা। গড়ে উঠছে একের পর এক বহুতল। তাই বাসিন্দারা এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্র তৈরির জন্য দীর্ঘ দিন দাবি করছিলেন। এ বার সে বিষয়েই উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা ও রাজ্য দমকল দফতর। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকায় এখন কোনও দমকলকেন্দ্র নেই। রাজপুর, সোনারপুর শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় আগুন লাগলে বারুইপুর সংলগ্ন ফুলতলা এবং পাটুলির দমকলকেন্দ্রের উপরে নির্ভর করতে হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোনও বিপদের কথা জানালে এ দু’টি কেন্দ্র থেকে ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। কারণ, জায়গা দু’টির দূরত্ব এবং যে রাস্তা দিয়ে দমকল আসে সে রাস্তায় হামেশাই যানজট লেগে থাকে।
|
|
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার বিরোধী দল বামফ্রন্টও নতুন দমকলকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে। এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সিপিআইয়ের তড়িৎ চক্রবর্তী বলেন, “এলাকায় একটি দমকলকেন্দ্রের প্রয়োজন রয়েছে। তা বাস্তবায়িত হলে খুব ভাল হয়। বাসিন্দারা দীর্ঘ দিনের একটি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।”
দমকল দফতর সূত্রের খবর, কোনও এলাকায় দমকলকেন্দ্রের প্রয়োজন হলে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট পুরসভা, পঞ্চায়েত বা জনপ্রতিনিধি জমি চিহ্নিত করে দমকল দফতরকে জানাবেন। এর পরে দমকল দফতর ওই জমিতে দমকলকেন্দ্র নির্মাণের ব্যবস্থা করবে। একটি দমকলকেন্দ্র গড়ার জন্য ন্যূনতম ৪০.৪০ একর জমির প্রয়োজন হয়। তা ছাড়া জমিটি এমন জায়গায় হতে হবে যেখান থেকে এলাকার সর্বত্র সহজে পৌঁছনো যায়।
|
|
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা সূত্রের খবর, গড়িয়ায় ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসের পাশে একটি জমি চিহ্নিত করে দমকল দফতরকে জানানো হয়েছে। পরিকল্পনার প্রাথমিক কাজ হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এবং উপ-পুরপ্রধান ফিরদৌসি বেগম বলেন, “এলাকার মানুষের দাবি মেনেই আমরা দমকলকেন্দ্রের জন্য জমিটি চিহ্নিত করেছি। পরিকল্পনা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দমকল দফতরে পাঠিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত মিললেই নতুন দমকলকেন্দ্র তৈরি শুরু হবে।” রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকায় নতুন দমকল কেন্দ্র তৈরির কথা স্বীকার করে বলেন, “ওই এলাকায় দ্রুত হারে জনবসতি বাড়ছে। তাই একটি দমকলকেন্দ্রের প্রয়োজন। আমরা জমি চিহ্নিত করেছি। খুব শীঘ্রই ওখানে কাজ শুরু হবে।”
|
ছবি: সুব্রত রায় |
|
|
|
|
|