পূর্ব কলকাতা
যশোহর রোড
ভগ্ন ত্রিফলা
মাত্র কয়েক মাস কেটেছে। তার মধ্যেই ভগ্নদশা!
কোথাও মাটি থেকে উপড়ে গিয়েছে আলোকস্তম্ভ। কোথাও ভেঙে পড়েছে ত্রিফলা। বিরাটি মোড় থেকে মধ্যমগ্রাম পেরিয়ে যশোহর রোডের দু’দিকের ত্রিফলা আলোকস্তম্ভগুলির এখন এমনই অবস্থা। এলাকার সৌন্দর্যায়নের জন্য ওই আলোকস্তম্ভগুলি বসানো হয়েছিল। কিন্তু এখন রাস্তার শোভা বাড়ানোর পরিবর্তে ওই ভাঙা ত্রিফলা স্তম্ভগুলি দৃষ্টিকটু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার উপরে যশোহর রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বেশির ভাগ ত্রিফলা বাতিস্তম্ভে আলো জ্বলছে না।
মধ্যমগ্রাম পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, গত বছর অগস্টে যশোহর রোডের দু’দিকে ১৬ মিটার অন্তর এই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলি লাগানো হয়েছিল। স্তম্ভগুলি বসিয়েছিল মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডাইরেক্টরেট বিভাগ। এগুলির দেখভাল করার কথা ছিল মধ্যমগ্রাম পুরসভার।
তা হলে এত তাড়াতাড়ি কেন ভেঙে গেল ত্রিফলা স্তম্ভগুলি? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিরাটি মোড় থেকে মধ্যমগ্রাম পর্যন্ত যশোহর রোডের দু’দিকে রয়েছে অসংখ্য গ্যারাজ।
সেই সব গ্যারাজে রাতে বড় বড় ট্রাক বা লরি এসে দাঁড়ায় এবং রাস্তার দু’ধারে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে পার্ক করতে গিয়ে ওই সব বাতিস্তম্ভে ধাক্কা মারে। তার ফলেই ত্রিফলা স্তম্ভগুলির এই দশা।
যশোহর রোডের বিটি কলেজ মোড়ে গিয়ে দেখা গেল, ওই এলাকার অধিকাংশ বাতিস্তম্ভই ভেঙেচুরে গিয়েছে। বড় ট্রাক এবং লরিগুলি রাস্তার ধারের গ্যারাজের সামনে রাখা। সেখানে জায়গা না পেয়ে অনেক লরি আবার রাস্তার পাশে ত্রিফলা স্তম্ভের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানালেন, বাতিস্তম্ভগুলি গায়ে-গায়ে লাগানো হয়েছে। দিনের বেলা জনবহুল রাস্তায় ট্রাক-চালকেরা সতর্ক হয়ে পার্কিং করেন। কিন্তু রাতে সে সবের বালাই থাকে না। তাই পার্ক করতে গিয়ে ত্রিফলা আলোয় ধাক্কা মারার ঘটনা হামেশাই ঘটছে।
মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন ঘোষও বলেন, “বাতিস্তম্ভগুলি মাটির অনেক গভীর পর্যন্ত পোঁতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও লরি বা ট্রাকের ধাক্কায় এই কাণ্ড ঘটছে। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। রাতে ওই এলাকায় নজরদারি বাড়ালে এ রকম আর ঘটবে না।” ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ ছাড়াও যশোহর রোডে সাধারণ বাতিস্তম্ভও রয়েছে। রথীনবাবু বলেন, “একটি বাতিস্তম্ভের সঙ্গে সাত থেকে আটটি বাতিস্তম্ভের চ্যানেল রয়েছে। ফলে একটি বাতিস্তম্ভ ভেঙে গিয়ে আলো না জ্বললে অন্যগুলিতেও জ্বলে না। ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে। পুজোর পরে এ রকম বেশ কয়েকটি স্তম্ভ ভেঙে গিয়েছিল। সেগুলি সারাই করা হয়েছে। বাকিগুলিও দ্রুত সারাই করে নেওয়া হবে।”

ছবি: শৌভিক দে




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.