মেহতাব-পেনদের ‘আড়ালের’ চেষ্টা
ডার্বি ও কার্ডের অঙ্ক মাথায় রেখে মর্গ্যান আজ সতর্কতার সরণিতে
চ্চমাধ্যমিকের আগে টেস্টে যা হয়!
দরজায় কড়া নাড়ছে ‘ডার্বি’ আর ইস্টবেঙ্গলের সাহেব কোচের ড্রেসিংরুমে একের পর এক অঙ্ক, ‘চাই’-এর খোঁজ। ৯ ফেব্রুয়ারিতে পুরো টিম চাই, সঙ্গে চাই তার আগে জরুরি তিন পয়েন্ট, যা টিমকে পৌঁছে দেবে আত্মবিশ্বাসের এভারেস্টে। এখানেই শেষ নয়, চাহিদার লিস্টে ঢুকে পড়ছে আরও একটা জিনিস।
পৃথিবী উল্টে গেলেও কার্ড দেখা চলবে না। রং লাল হোক কিংবা হলুদকোনওটাই নয়।
আর সেই কারণেই শনিবার কল্যাণীতে পৈলান অ্যারোজের বিরুদ্ধে ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের টিমে মেহতাব-পেনকে দেখার সম্ভাবনা কম। কে বলতে পারে, খেলতে নামলে মেহতাবরা কেউ হলুদ কার্ড দেখে বসবেন না! তা হলে তো বড় ম্যাচের অঙ্কে দফারফা।
কোচের ভরসা চিডি
দলের পাঁচ নির্ভরযোগ্য ফুটবলার তিনটি করে হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছেন। যে তালিকায় রয়েছেন, মেহতাব, পেন, অর্ণব, খাবরা এবং ইসফাক আহমেদ। এই পাঁচ ফুটবলারের কেউ একজন অলউইন জর্জদের বিরুদ্ধে একটি হলুদ কার্ড দেখলেই পরের ম্যাচ মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠের বাইরে থাকবেন। এ দিন সকালে তাই পেন-মেহতাবদের আলাদা অনুশীলন করিয়েছেন কোচ। ম্যাচেও খুব প্রয়োজন নাহলে তাঁদের নামানোর পরিকল্পনা আপাতত নেই। বরং গোলে অভিজিৎ এবং রক্ষণে সৌমিক, ওপারা, গুরবিন্দর, নওবাদের রেখেই দল সাজাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। মাঝমাঠে লালরিন্দিকা, সুবোধ, লোবো এবং সঞ্জু। আক্রমণে চিডি-বরিসিচ।
এক কথায়, নবম স্থানে থাকা পৈলান অ্যারোজের বিরুদ্ধে মেপে পা ফেলতে চাইছেন লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ। অহেতুক ঝুঁকির কোনও গল্প নেই।
শুক্রবার সকালে অনুশীলনের পর বাড়ি ফেরার পথে মর্গ্যান বলছিলেন, “ফেডারেশনের টিমটার ছেলেগুলো সকলেই ফিটনেসের শীর্ষে। সারা ম্যাচ দৌড়োয়। জিততে গেলে আমাদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি ভাল ফুটবল খেলতে হবে।”
কার্ড-তত্ত্ব বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু ‘ডেভিড’-সম প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ময়দানের অন্যতম ‘গোলিয়াথ’-এর এত সমীহ কেন?
কারণ এ দিন স্পোর্টিং ক্লুবের কাছে চার্চিল হেরে যাওয়ায় পর চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে প্রবল ভাবে ঢুকে পড়লেন চিডিরা। ১৮ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট লাল-হলুদের। এই পরিস্থিতিতে অ্যারোজের নবীনদের বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্ট মানে আইলিগে ফের অনিশ্চয়তার সরণিতে ঢুকে পড়া। তাই যতই ফেডারেশনের টিমের বিরুদ্ধে অপরাজিত থাকুক ইস্টবেঙ্গল, মর্গ্যান বলে দিচ্ছেন, “এই লিগে অঘটন কখন ঘটবে কেউ জানে না। কাল তিন পয়েন্ট চাই।” এবং কোচের মন্ত্র ঢুকে পড়েছে ফুটবলারদের মধ্যেও। মেহতাব হোসেনকে জিজ্ঞেস করা হল ডার্বির আগে অ্যারোজ ম্যাচ, ব্যাপারটা অনেকটা উচ্চমাধ্যমিকের আগে টেস্টের মতো হল না? শুনে মোটামুটি আঁতকে উঠলেন ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠের ‘হৃদয়’। “অ্যারোজের বাচ্চা ছেলেগুলোকে কোনও ভাবেই খাটো চোখে দেখছি না। প্রথমেই গোল তুলে নিতে হবে। নাহলে সমস্যা হতেই পারে। আমাদের কাছে এখন সব ম্যাচই ডার্বি।”

শনিবার আই লিগে
• ইস্টবেঙ্গল-পৈলান অ্যারোজ (কল্যাণী, ২-০০)
• লাজং এফসি-ইউনাইটেড সিকিম (শিলং, ২-০০)
• এয়ার ইন্ডিয়া-ইউনাইটেড স্পোর্টস (পুণে, ২-৩০)
• ডেম্পো-মুম্বই এফসি (মাপুসা, ৩-৪৫)
• পুণে এফসি-সালগাওকর (পুণে, ৬-৩০)




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.