হস্তিশাবকের ঢুঁসোয় মারা গিয়েছেন এক যুবক। বিস্ময়কর হলেও পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামে শুক্রবার সকালে এমনটাই ঘটেছে। মৃত পিথো মাণ্ডি (২২) স্থানীয় বাসিন্দা। অতুৎসাহী পিথো উৎত্যক্ত করার সময়ে ভাবতেই পারেনি বছর দুয়েকের হস্তিশাবক এমন শক্তিধর হতে পারে। তার শুঁড় ধরে টানা হেঁচড়া করার সময়ে শাবকটির জোরালো গুঁতোয় পড়ে যায় সে। তলপেটে গুরুতর আঘাত লাগে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় ওই যুবক।
পরিবার থেকে ছিটকে গিয়েছিল দিন কয়েক আগেই। স্বজনহারা, অচেনা বিদেশ বিভুইঁয়ে জঙ্গলরে সীমারেখাও ঠাওর করতে পারেনি সে। |
তাই টলোমলো পায়ে বেরিয়ে এসেছিল ধান খেত উজিয়ে লোকালয়ে। এত কাছ থেকে হস্তিশাবক, নয়াগ্রামের ভুড়রুবনি গ্রাম ভাবতেই পারেনি। নিমেষে তাকে ছেঁকে ধরেছিলেন গ্রামবাসীরা। মানুষের এ হেন উৎসাহে ভড়কে গিয়ে ছুটতে থাকে সে। আর সেই সময়েই তার সামনে পড়ে যায় পিথো। গুঁতোর চোটে পরে যায় সে। পরে বন দতরের কর্মীরা এসে শাবকটিকে ধরে ফেলে।
ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়গ্রামের মিনি-চিড়িয়াখানায়। খড়্গপুরের বিভাগীয় বনাধিকারিক অঞ্জন গুহ বলেন, “বছর দু’য়েকের শাবকটি দলমার দলছুট বলেই মনে হয়। আপাতত তাকে ঝাড়গ্রামে রাখা হয়েছে। মৃত যুবকের পরিবারকে সরকারি নিয়মে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” |