|
|
|
|
প্রবীণরা তো কাজই দেন না, রাহুলকে নালিশ নবীনদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রথম দিনের বৈঠকে প্রবীণ নেতারা শুধু পারস্পরিক রেষারেষি, সিদ্ধান্তহীনতা বা আঞ্চলিক নেতৃত্বের সঙ্কটের কথা বলেছিলেন। কিন্তু রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে তুলনামূলক নবীন প্রজন্মের নেতারা কংগ্রেসের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন! সুনির্দিষ্ট ভাবে কারও নামে অভিযোগ না করেও আজ তাঁরা সহ-সভাপতিকে জানালেন, সংগঠনের বর্ষীয়ান নেতারা সচিবদের কোনও কাজই দেন না। ফলে নবীন নেতারা জানেনই না তাঁদের কী দায়িত্ব! সবার দায়িত্ব আগে বণ্টন করা হোক।
কংগ্রেসের অন্দরের এই অব্যবস্থা নিয়ে দলের চিন্তন শিবিরেই উদ্বেগ জানিয়েছিলেন রাহুল। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আজ বৈঠকে রাহুল জানিয়েছেন, এত বড় দলে রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব না হলেও আপাতত স্বল্পমেয়াদি কিছু ব্যবস্থা শীঘ্রই নেওয়া হবে। তার পর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লোকসভার যুদ্ধের আগে সংগঠন গুছোনোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন রাহুল। তাই পরপর দু’দিন কংগ্রেস দফতরে বৈঠক করেন। তৃতীয় দফায় এই বৈঠক হবে সোমবার। যার পরে সংগঠনে ঝাঁকুনি দিতে দাওয়াই দেবেন রাহুল।
আজকের বৈঠকে মূলত মতামত দেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সচিবরা। সূত্রের খবর, বৈঠকে পারভেজ হাসমি, প্রিয়া দত্ত, সঞ্জয় নিরুপমের মতো নেতারা বলেন, কংগ্রেস দফতরে ঘর, টেবিল-চেয়ার থাকলেও কাজ নেই। নাম কে ওয়াস্তে সংগঠন রয়েছে। তাই কাজের দায়িত্ব ও পরিধি সুনির্দিষ্ট হওয়া উচিত। মন্ত্রিসভায় থাকার পাশাপাশি যাঁরা কংগ্রেস সংগঠনের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের দলের কোনও অনুষ্ঠান ছাড়া দফতরে দেখা পাওয়া যায় না।
একই সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও নিশানা করে এই নবীন নেতারা জানান, সরকার ও দলের মধ্যে বিন্দুমাত্র সমন্বয় নেই। সরকার কী নীতি নিতে চলেছে, তা মন্ত্রীরা সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন না। খবরের কাগজ পড়ে দলের নেতাদের সরকারের নীতি জানতে হয়। এমন পরিস্থিতি চললে সরকারের বিরুদ্ধে অভাব-অভিযোগ প্রতিহত করা মুশকিল হচ্ছে।
রাহুল-ঘনিষ্ঠ কংগ্রেসের এক নেতার বক্তব্য, কংগ্রেসে এই সমস্যাগুলি নতুন নয়। কিন্তু ফারাকটা হল, নবীন নেতারা এতটা খোলাখুলি কখনও সনিয়া গাঁধীর সামনে বলতে পারেননি। তবে এখন দেখার, কংগ্রেস সংগঠনের যে ব্যবস্থা সনিয়া বদলাতে পারেননি, তা রাহুল পারবেন কি? |
|
|
|
|
|