|
|
|
|
হঠাৎ দিশা হারাল মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি |
মাঝ আকাশে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দিশাহারা কপ্টার। এবং এবারও সেই পবনহংস। তবে শেষ অবধি অরুণাচলের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী দোরজি খাণ্ডুর মতো দশা হয়নি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার। দিগ্ভ্রষ্ট হেলিকপ্টারটিকে পাইলটরা নির্বিঘ্নে গুয়াহাটিতে নামান। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আকাশ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ‘হারিয়ে যাওয়া’-র ঘটনা নিয়ে আপাতত তোলপাড় মেঘালয় পুলিশ ও প্রশাসন। শুরু হয়েছে চাপান-উতোর।
ঘটনার শুরু গত কাল বিকেলে। নির্বাচনী আচরণ বিধির কারণে রাজ্য পরিবহন দফতরের হাতে থাকা পবনহংসের যাত্রীবাহী কপ্টারটি ব্যবহার করতে পারছেন না সাংমা। তাই দল তাঁর জন্য অন্য একটি কপ্টার ভাড়া করেছে। গত কাল সেই কপ্টারেই মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিম গারো পাহাড়ের পুরকাসিয়া চোংলাপাড়া ও দক্ষিণ গারো পাহাড়ের চোরপটে নির্বিঘ্নে অবতরণ করেন। দু’টি জনসভা সেরে তাঁর তৃতীয় গন্তব্য ছিল পশ্চিম গারো পাহাড়ের সেলসেলা। কিন্তু দিন গড়িয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই কমে আসে দৃশ্যমানতা। সেই সঙ্গে পুলিশের পাঠানো অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেবও পাইলটদের হিসেবের সঙ্গে মিলছিল না। তাই পশ্চিম গারো পাহাড়ের উপরে চক্কর খেলেও হরিপুরের অবতরণস্থলটি চিনে উঠতে পারেননি দুই পাইলট। ততক্ষণে রাস্তা চেনা নিয়ে আকাশেই দুই চালকের সঙ্গে রীতিমতো তর্কে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। এই ভাবে ঘণ্টাখানেকের বেশি দিশাহীন ভাবে এদিক-ওদিক চক্কর খাওয়ার পরে জ্বালানী কমে আসায় ও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পাইলটরা গুয়াহাটির দিকে উড়ে যান। নীচে মুখ্যমন্ত্রীর অপেক্ষায় থাকা নেতা, বিধায়ক, আম জনতা পুলিশের কাছে জবাবদিহি চাইতে থাকে। আকাশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী হারিয়ে যাওয়ায় পুলিশও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। শেষ অবধি সাংমার কপ্টার গুয়াহাটিতে অবতরণ করেছে, এই খবর পেয়ে পুলিশকর্তারা হাঁফ ছাড়েন।
কিন্তু কার দোষে এমনটা হল? পাইলটদের বক্তব্য, পুলিশ তাদের যে দিক্-নির্দেশ ও অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ জানিয়েছিল তা ভুল ছিল। পুলিশ তা মানতে নারাজ। হরিপুর গ্রামে, যেখানে জনসভা হওয়ার কথা ছিল, সেখানে সরেজমিনে তদন্ত চালিয়ে পুলিশকর্তারা জানান, পুলিশের পাঠানো অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেবে ভুল ছিল না। |
|
|
|
|
|