|
|
|
|
সিপিএমে চাপ ধর্মঘট শিথিল করার জন্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দু’দিনের ধর্মঘট নিয়ে দলের মধ্যেই আপত্তি উঠতে শুরু করায় আরও তৎপর হলেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি কিছু ক্ষেত্রে ধর্মঘটে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। একই সঙ্গে রাজ্য কমিটির অধিকাংশ সদস্য যে টানা দু’দিন ধর্মঘট চাইছেন না, সেই মনোভাবের কথা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়ে দিচ্ছে আলিমুদ্দিন। ধর্মঘটের দু’টি দিনই কিছু না কিছু পরীক্ষা আছে। ফলে, পরিস্থিতি আরও ঘোরালো।
সিপিএম রাজ্য কমিটির মনোভাব বুঝতে পেরে রাজ্য স্তরে ট্রেড ইউনিয়নগুলি শীঘ্রই আলোচনায় বসছে। সম্ভবত ২১ তারিখ পরিবহণ-সহ এমন কিছু ক্ষেত্রকে ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হতে পারে, যাতে জনজীবন যথেষ্ট সচল থাকতে পারে। বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি-র সংগঠন-সহ ১১টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ওই দু’দিনই পরীক্ষা আছে আইএসসি-র। প্রথম দিন আইএসসি-র পরিবেশ বিজ্ঞান এবং ২১ তারিখ কলা বিষয়ের দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা। সেগুলির দিন বদল করা কার্যত অসম্ভব বলে জানিয়েছে আইসিএসই কাউন্সিল। দুই পরীক্ষায় এ রাজ্যের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম। কিন্তু ধর্মঘট হলে তাঁদের পক্ষেও পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছনো
কঠিন হবে। কলকাতার একটি স্কুলের অধ্যক্ষ তথা আইসিএসই কাউন্সিলের এক সদস্য জানান, পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে তা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ
পর্যন্ত চলবে। তখন বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়। তাই পরীক্ষা পিছোলে সমস্যা বাড়বে পরীক্ষার্থীদেরই। ওই অধ্যক্ষের কথায়, “যাঁরা ধর্মঘট ডেকেছেন, পরীক্ষার্থীদের সমস্যার কথা মাথায় রাখার জন্য তাঁদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।”
মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ ঝুঁকি নেয়নি। ধর্মঘটের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার দিন পিছোনো হয়েছে। ওই দিনের পরীক্ষা হবে ৯ মার্চ, শনিবার। শুক্রবার পর্ষদ জানিয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারির পাশাপাশি ২৩ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষাও পিছোনো হয়েছে। কারণ, ওই দিন কয়েকটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন রয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষাগুলি হবে ৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার। পরপর দু’দিন ধর্মঘট করে প্রান্তিক মানুষদের কেন রুটি-রুজি হারানোর পথে ঠেলে দেওয়া হবে, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন ওঠে সিপিএমের রাজ্য
কমিটিতে। ২১ তারিখ ভাষা দিবসের কথাও উঠেছিল। কবি শঙ্খ ঘোষ-সহ বেশ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও ভাষা দিবসকে সমস্যামুক্ত রাখার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এ দিন রাজ্য কমিটির ভাষণে বিমানবাবু বলেছেন, আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের বিশেষ মর্যাদা আছে। রাজ্য কমিটির সদস্যদের বক্তব্য যুক্তিসঙ্গত। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন যাতে কিছু ক্ষেত্রকে ছাড় দেওয়া হয়, তার জন্য ট্রেড ইউনিয়নগুলির কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে। |
|
|
|
|
|