দমদমের জোড়া খুনের ঘটনায় আরও পাঁচ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম জগন্নাথ রায়, রূপম দাস, সুভাষ দাস ওরফে বড় পকাই, বিশ্বরূপ ঘোষ ওরফে ছোট পকাই এবং তপন দাস ওরফে ঞ। তাঁদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি বিশ্বজিত্ ঘোষ বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এই চারজনকে ধরা হয়। আগেই ধরা পড়েছে তোতন ও সঞ্জীব নন্দী ওরফে নন্দীবুড়ো। এক অভিযুক্ত বিজয় এখনও পলাতক। এ ছাড়া, এই ঘটনায় যুক্ত আরও দু’জন সন্দেহভাজনকে খোঁজা হচ্ছে।”
পুলিশের দাবি ধৃতেরা জেরায় স্বীকার করেছে, ২৩ ডিসেম্বর রাতে শ্বাসরোধ করে অভিজিত্ সাহা ও তার জামাইবাবু কৌশিক রায়কে খুন করা হয়। তার পর তাঁদের রেল ইয়ার্ডের ঝিলে ফেলে দেওয়া হয়। পুরো ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় বড় পকাই। কিন্তু কেন খুন করা হল? পুলিশের দাবি, তোলাবাজি-সহ নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন কৌশিক ও অভিজিত্। আগে তাঁরা বড় পকাইয়ের দলের সঙ্গে থাকলেও সম্প্রতি তাঁদের সঙ্গে ওই দলের ঝামেলা হচ্ছিল। ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে ওই দলের সঙ্গে তাঁদের একদফা মারামারিও হয়। ওই রাতেই ফের আর এক বন্ধু বিজয় তার জন্মদিন উপলক্ষে দমদম স্টেশনের রেল লাইনের ধারে ডাকে অভিজিত্ ও কৌশিককে। কিছু পরে সেখানে আসে বড় পকাই, ছোট পকাই, জগন্নাথ ও রূপম। তারা একসঙ্গে মদ্যপানও করে। ফের ওই দলের সঙ্গে ঝামেলা হয় অভিজিত্ ও কৌশিকের। এর পরেই শ্বাসরোধ করে ওই দুই যুবককে খুন করা হয় বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ জানায়, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে তোলাবাজির ঝামেলা থেকেই এই খুন।
২৩ সে ডিসেম্বরের রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন দমদমের শেঠবাগান এলাকার দুই যুবক অভিজিত্ সাহা (২৬) ও তার জামাইবাবু কৌশিক রায় (৩১)। ২৬ জানুয়ারি দমদমের রেল ইয়ার্ডের একটি ঝিল থেকে দড়ি দিয়ে পা বাঁধা অবস্থায় তাঁদের দেহ মেলে। অভিজিতের বাবা সুনীল সাহার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা শুরু করে। |