শিক্ষিকাদের মারামারির ঘটনার রেশ শুক্রবারেও কাটিয়ে ওঠেনি বেনিয়াপুকুরের মিল্লি আল আমিন কলেজ। এ দিন কলেজ খোলা ছিল বটে, কিন্তু প্রথমার্ধে কোনও ক্লাস হয়নি। দুপুর দু’টোর পরে কয়েকটি ক্লাস হলেও ছাত্রীসংখ্যা ছিল হাতে গোনা।
তিন স্থায়ী শিক্ষিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, জারিনা খাতুন এবং প্রবীণ কৌর হাজির থাকলে তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করবেন বলে পরিচালন সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন কলেজের এক দল শিক্ষিকা এবং ছাত্রী। শুক্রবার কলেজের দুই দারোয়ান পুলিশকে জানিয়েছেন, স্থায়ী শিক্ষিকাদের হাজিরা খাতা খোয়া গিয়েছে। অভিযোগের তির বৈশাখীদেবীদের দিকে। ওই শিক্ষিকারা অবশ্য এ কথা অস্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার টিচার্স রুমের ভিতরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা সাবিনা নিশাত ওমরের সঙ্গে কলেজের তিন স্থায়ী শিক্ষিকার গোলমাল হাতাহাতি পর্যন্ত পৌঁছয়। দু’পক্ষ একে অন্যের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে।
শুক্রবার ওই তিন শিক্ষিকা কলেজে যাননি। বৈশাখীদেবী প্রশ্ন তুলেছেন, “আমাদের বেতন কাটা নিয়ে একটি মামলা চলছে। সে জন্য খাতাটি অত্যন্ত জরুরি। আমরা সেটা চুরি করব! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?” তিনি জানান, বৃহস্পতিবারের ঘটনা ওই কলেজের এক শিক্ষিকা তাঁর মোবাইলে রেকর্ড করেছিলেন। সেই ভিডিও ছবি তাঁর কাছে আছে। বৈশাখীদেবী বলেন, “এই ভিডিও নিয়ে আমি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের দ্বারস্থ হব।”
এ দিন দুপুরে কলেজে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পাস প্রায় ফাঁকা। ইতিহাসের শিক্ষিকা প্রগতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথমার্ধে কোনও ক্লাস হয়নি। বৈশাখীদেবীদের জন্য তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, এই দাবি করে শিক্ষিকারা টিচার্স রুমেও যাননি।
পরিচালন সমিতির সচিব মহম্মদ জাহাঙ্গির জানান, নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা যে চিঠি দিয়েছেন, তা তাঁরা পেয়েছেন। সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য তাড়াতাড়িই বৈঠকে বসবে পরিচালন সমিতি। |