সিনেমা হলের সামনে ভিড় করে রয়েছে পুলিশ। কোথাও হইচইয়ের আওয়াজ শুনলেই ছুটে গিয়ে অবস্থা সামাল দিচ্ছে তারা। আজ এমনই দৃশ্য দেখা গেল তামিলনাড়ু বাদ দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সিনেমা হলের সামনে। কারণ গত কয়েক দিন ধরে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ‘বিশ্বরূপম’ আজ দেশ জুড়ে মুক্তি পেল। যদিও কমলহাসনের নিজের রাজ্য তামিলনাড়ুতে এখনও ফিল্মটি নিয়ে জট কাটেনি। আজ রাতে এক বৈঠকে ফিল্মটি আদৌ মুক্তি পাবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি আগামিকাল পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যে ফিল্মটির মুক্তি নিয়ে আজ সকালে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক বসে চেন্নাইয়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শীর্ষস্থানীয় কয়েক জন নেতা, কমলহাসনের ভাই চন্দ্রহাসন এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব। চন্দ্রহাসন আবার ফিল্মটির সহপ্রযোজকও। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিক্ষুব্ধ সংঘালঘু সম্প্রদায়ের তরফে ফিল্মটির ন’ মিনিটের একটি অংশ বাদ দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। |
সুরক্ষিত: শহরের সিনেমা হলে চলছে ‘বিশ্বরূপ’। রয়েছে পুলিশি নিরাপত্তাও।—নিজস্ব চিত্র |
তবে কমলহাসন ফিরলে তবেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান চন্দ্র। প্রসঙ্গত হিন্দি ভাষায় ফিল্মটির প্রচারে তিনি এখন মুম্বইয়ে। এ দিকে ফিল্মটির কয়েকটি অংশে হিংসার দৃশ্য রয়েছে এবং একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে খারাপ ভাবে দেখানো হয়েছে এই অভিযোগে আজ মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন সি জেবাকুমার জর্জ।
গত কাল ‘বিশ্বরূপম’ নিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা মুখ খোলার পরে কালই কিছুটা সুর নরম করেন কমলহাসন। দিন কয়েক আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ফিল্মটির কিছুটা অংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান। এর পরেই দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে ফিল্মটি দেখানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। কাল জয়ললিতা দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে বিবাদ মিটিয়ে নিলে ফিল্মটি দেখানোয় আপত্তি নেই বলার পরেই আজ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন হয়। কিন্তু সেখানেও কোনও সমাধান সূত্র না মেলায় রাতে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়। পরে সেটিও স্থগিত হয়ে যায়।
এ দিকে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদ দিলে উত্তর ভারতে বেশ ভালই ব্যবসা করেছে ‘বিশ্বরূপম’। বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্স সূত্রের খবর, হলের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ভর্তি ছিল। সামনের সপ্তাহে আরও ভাল ব্যবসা হওয়ার আশা করছেন হল মালিকেরা। ফিল্মটিতে আপত্তিকর কিছু নেই বলে দশর্কদের অনেকেই জানিয়েছেন। লখনউয়ে অবশ্য ফিল্মটির প্রদর্শনী বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েক জন। |