যোগাযোগের উন্নতির জন্য রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই সম্প্রসারিত রাস্তা কার্যত মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সমস্যাটি ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা পূর্ত দফতরের তত্বাবধানে সাঁইথিয়ার তালতলা থেকে ময়ূরেশ্বরের সুলতানপুর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার রাস্তা পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ হয়। কিন্তু সম্প্রসারিত ওই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় রয়ে গিয়েছে লোহা কিংবা সিমেন্টের বিদ্যুৎ খুঁটি। এর ফলে প্রাণ হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয় ওই রুটের চালক থেকে যাত্রী সকলকেই। বীরভূম-মুর্শিদাবাদ জেলার সংযোগকারী এই রাস্তা দিয়ে সারা দিন তো বটেই, গভীর রাত পর্যন্ত সমস্ত ধরনের যানবাহন চলাচল করে। রাস্তা সম্প্রসারিত হওয়ায় ওই যানবাহনের গতি বেড়েছে। তাই রাস্তার মাঝে থাকা খুঁটিতে আচমকা ধাক্কা লাগছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস কিংবা ট্রাকের ধাক্কায় কয়েকজন মোটরবাইক আরোহী ও পথচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। |
এ ভাবেই রাস্তার মাঝে রয়েছে বিদ্যুৎ খুঁটি। —নিজস্ব চিত্র। |
বাস চালক সনাতন দাস, ট্রাক চালক ওসমান আলিরা বলেন, “গতির মুখে আচমকা খুঁটি দেখে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সময় সম্ভব হয় না। প্রশাসন অবিলম্বে ওই সব খুঁটি রাস্তার মাঝখান থেকে না সরালে প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে।” স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্মী সাধন সেন, বিজেপি নেতা তামাল মণ্ডলরা বলেন, “শুধু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটবে তা নয়, খুঁটি ভেঙে লাগোয়া বাড়ির উপরে পড়বে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই।” জেলা পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্তুকার অনির্বাণ দে বলেন, “ওই খুঁটিগুলি সরানোর দায়িত্ব বিদ্যুৎ দফতরের। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ দফতরে খুঁটি সরানোর জন্য জানানো হয়েছে। কেন সরানো হয়নি, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।”
এ দিকে, জেলা বিদ্যুৎ দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়র কল্লোলকান্তি দাস বলেন, “সবে কাজে যোগ দিয়েছি। খোঁজ না নিয়ে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।” দেখা গিয়েছে, সম্প্রসারিত ওই রাস্তার সিংহভাগই ময়ূরেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ওই কেন্দ্রের বিধায়ক সিপিএমের অশোক রায় বলেন, “ওই ভাবে বিদ্যুৎ খুঁটি থাকা খুবই বিপজ্জনক। আমার নজরে পড়েছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে বলে শুনেছি। উভয় দফতরের সঙ্গে কথা বলে, যাতে দ্রুত খুঁটিগুলি সরানো যায় তার ব্যবস্থা করা হবে।” |