বাস থেকে নামার সময় এক যুবতীকে উত্যক্ত করছিল কয়েক জন যুবক। প্রতিবাদ করায় উল্টে ওই যুবতীকেই আক্রমণের চেষ্টা করে তারা। কোনও রকমে ওই যুবকদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে দৌড় লাগান ওই যুবতী। বৃহস্পতিবার বিকালে বোলপুরের জামবুনি বাসস্ট্যান্ড এলাকার ঘটনা। বোলপুর থানা এলাকার ওই যুবতী রাতেই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে ওই যুবতী ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, ওই নিগ্রহের ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বোলপুরের এসডিপিও প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, “ওই ঘটনার তদন্তের জন্য স্থানীয় একটি চায়ের দোকানীকে থানায় ডাকা হয়েছিল। ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ অপরাধীদের ছেড়ে দিয়েছে এমন অভিযোগ ঠিক নয়।” এ দিকে, জেলার পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “ওই ঘটনায় শুক্রবার রানা শেখ নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটে নাগাদ বোলপুর শহরের বাসিন্দা ওই যুবতী জামবুনি বাস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। যুবতী তাঁর লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, বাসস্ট্যান্ডে কয়েক জন যুবক তাঁকে অশ্লীল ইঙ্গিত করে কুরুচিকর মন্তব্য করতে শুরু করে। তিনি প্রতিবাদ করলে স্থানীয় একটি চায়ের দোকান থেকে হাতা, খুন্তি নিয়ে এসে ওই যুবকেরা তাঁকে মারার চেষ্টা করেন। প্রকাশ্যে তাঁর হাত ধরে টানাটানিও করা হয়ে বলে ওই যুবতীর অভিযোগ।
গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত ওই যুবতী বলেন, “এ ভাবে দিনের বেলা আমার সঙ্গে ওমন করা হবে, আমি দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি! ঘটনার সময় আমার সাহায্যে কেউ এগিয়েও এলেন না এটা সব থেকে বেশি হতাশার।” ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে সোজা তিনি চলে যান নিজের কর্মস্থলে। সেখানে সহকর্মীদের গোটা ঘটনার কথা বলতে তাঁরাই ওই যুবতীকে থানায় অভিযোগ জানাতে নিয়ে আসেন। এ দিকে, স্থানীয় দুই চা বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করায় ক্ষোভ ছড়ায় ওই বাসস্ট্যান্ড এলাকার দোকানদারদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, পুলিশ নিরপরাধীদের থানায় নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করছে। পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। |