|
|
|
|
অনুষ্ঠানে স্টেডিয়াম ভাড়া দেওয়ায় ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
অনুষ্ঠানের জন্য স্টেডিয়াম ভাড়া দিয়ে প্রতিযোগিতার ম্যাচ অন্য মাঠে সরানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করল বর্ধমান সদর লোকাল নকআউট বাস্কেটবলের সেমিফাইনালে ওঠা দলগুলি। তাঁদের দাবি, জেলা বাস্কেটবল ও ভলিবল সংস্থা সারা বছর নিজস্ব গুদাম ও বিয়েবাড়ি ভাড়া দিয়ে যথেষ্ট উপার্জন করে। তাই খেলাধুলো বন্ধ করে স্টেডিয়াম ভাড়া দেওয়া উচিত নয়। সংস্থার তরফে অবশ্য দাবি করা হয়, খেলা চালানোর খরচ চালাতেই স্টেডিয়াম ভাড়া দিতে হয়েছে।
সেমিফাইনালে ওঠা ক্লাবগুলির মধ্যে অন্যতম শিবাজি সঙ্ঘের সম্পাদক জয়ন্ত দে-র ক্ষোভ, “ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রই বলেছেন, কোনও মাঠ বিয়েবাড়ি বা অন্য অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। খেলার মাঠ অন্য প্রয়োজনে ব্যবহার করা আমরা মানতে পারব না।” জাতীয় সঙ্ঘের সম্পাদক সুশান্ত চৌধুরীর কথায়, “এই স্টেডিয়ামে যে অনুষ্ঠান হবে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভলি ও বাস্কেটবল সংস্থার কাছে এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাব।’’ কল্যাণ স্মৃতি সঙ্ঘের কর্তা শ্রীগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “কাছে যে সব মাঠ রয়েছে, সেখানে না দিয়ে ম্যাচগুলি দূরের মোহনবাগান মাঠে দেওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ।” সাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্তা অনন্ত ঘোষের প্রশ্ন, “খেলার মাঠে অন্য কিছু করলে পরিবেশ নষ্ট হয়। ওই স্টেডিয়ামে যে শিশুরা বাস্কেটবল ও ভলির কোচিং নেয়, তারা কোথায় যাবে?”
জেলা ভলি ও বাস্কেটবল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বনবিহারী যশের দাবি, “খেলা চালাতে বিশাল খরচ। গুদাম বা বিয়েবাড়ি ভাড়া দিয়ে তা ওঠে না। বাধ্য হয়ে স্টেডিয়াম ভাড়া দিতে হয়েছে। ওই অনুষ্ঠান বাবদ পাওয়া টাকা ক্লাগুলির উন্নয়নেই ব্যয় করা হবে।” ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “ওই অনুষ্ঠান নিয়ে খোঁজ নিয়েছিলাম। শুনলাম মাঠটি নাকি সংস্থার নিজস্ব সম্পত্তি। তা রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদের এক্তিয়ারের বাইরে। প্রশাসনও অনুষ্ঠান করতে অনুমতি দিয়েছে। তাই এ ব্যাপারে কিছু করা সম্ভব হয়নি।” |
|
|
|
|
|