|
|
|
|
কোটি টাকা তুলে বন্ধ হল অফিস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
বাজার থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলে অফিস বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান থানায় ‘হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ক্রেডিট অ্যান্ড থ্রিফ্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামে ওই সংস্থার পাঁচ কর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন দশ জন এজেন্ট।
সংস্থার এজেন্টদের অভিযোগ, কর্ণধারদের কথা মতো মোটা অঙ্কের সুদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন তাঁরা। এখন আমানতের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে সেই টাকা আর ফেরত দিচ্ছে না সংস্থাটি। উল্টে, গত দু’মাসে সংস্থার ৪৫টি শাখার অধিকাংশই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী দুর্গাপুর সিটিসেন্টারের বেঙ্গল অম্বুজা মোড়ে সংস্থার প্রধান অফিসটিও বন্ধ। বন্ধ রয়েছে কলকাতার সল্টলেক ও বর্ধমান শহরের অফিসও। সংস্থার দুই কর্ণধার, কলকাতার টালিগঞ্জের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর সাবাত ও দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারের বাসিন্দা সুরঞ্জন করের বাড়িতে গিয়েও তাঁদের দেখা মেলেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ রাজ্য ছাড়াও সংস্থাটি ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ডে শাখা খুলে আমানত সংগ্রহের অভিযোগ মিলেছে। আসানসোলের সমবায় দফতরের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার নিজামুদ্দিন সিদ্দিকি জানান, ওই নামে কোনও সমবায় সংস্থা তাঁদের কাছে নথিভুক্ত হয়নি। তিনি বলেন, “যত দূর জানি, ওই সমবায়ের নামে একটি ভুঁইফোড় আর্থিক সংস্থা চালানো হচ্ছে। আমাদের কাছে কোনও গ্রাহক বা প্রতারিত ব্যক্তি অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”
সংস্থার দুই প্রাক্তন বোর্ড সদস্য শেখ নাসিরুল ইসলাম ও প্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান, সংস্থার বিরুদ্ধে তাঁরা বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেছেন। বাজার থেকে সংস্থাটি প্রায় পাঁচ’ছ কোটি টাকা তুলেছে। গত অক্টোবরে আমানতকারীদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে টাকা ফেরত দেওয়ার সময় হতেই সংস্থার কর্তারা এ বিষয়ে সময় নিতে শুরু করেন। ফলে শুধু জেলাতেই অন্তত ১১ হাজার এজেন্ট বিপাকে পড়েছেন। সংস্থার এজেন্ট উৎপল বিশ্বাস অভিযোগ করেন, সংস্থা আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় তিনি ও অনেক এজেন্ট বিপদে পড়েছেন। তিনি নিজে আমানতকারীদের তাগাদা ও হুমকিতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।
বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ওই সমবায়ের দুই ডিরেক্টর চন্দ্রশেখর সাবাত ও সুরঞ্জন কর-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। |
|
|
|
|
|