জরুরি ছিল। তবু রোগীকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার না-করে ব্যক্তিগত সরঞ্জামে অপারেশন করলেন মহকুমা হাসপাতালের ২ অস্থি শল্যচিকিৎসক। সোমবার রোগীণির ডান কুনুইয়ের টুকরো হয়ে যাওয়া হাড় জুড়লেন তাঁরা। চিকিৎসকদের এমন উদ্যোগে খুশি প্রত্যেকেই। ঘটনার পরে জেলা স্বাস্থ্যকর্তারা হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করতে তৎপর হন। জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, “মহকুমা হাসপাতালে অর্থপেডিক অপারেশনের যন্ত্রপাতি নেই তা কেউ আমাকে জানায়নি।” এ দিকে, সুপার সুজয় বিষ্ণু বলেছেন, “অপারেশনের যন্ত্রপাতির অভাবের কথা কয়েক বার স্বাস্থ্যভবনে জানানো হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে আবেদন প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে।” অপারেশনের পরিকাঠামো না থাকায় হাড় টুকরো হয়ে যাওয়া রোগীদের শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেওয়া আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের রেওয়াজ। এ জন্য রোগীর পরিবারের কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়। ওই সমস্যা কাটাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত বছর দুটি সরঞ্জাম স্বাস্থ্য ভবন থেকে এনেছেন। কিন্তু বেশির ভাগ সরঞ্জজাম না থাকায় চিকিৎসকরা সমস্যায় পড়েন। ওই কারণে এ দিন দুই চিকিৎসক প্রলয় পণ্ডিত ও অনিন্দ্য সাহা ব্যাক্তিগত সরঞ্জাম দিয়ে সকাল দশটা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা অপারেশন করে মালতি ওরাঁও নামে এক রোগীণির হাড়ের টুকরো জুড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
|
হাঁটু ও হিপ প্রতিস্থাপনের এক আধুনিক যন্ত্রের উদ্বোধন হল মধ্য শহরের এক নার্সিংহোমে। সোমবার অর্থোপাইলট নামে ওই যন্ত্রের উদ্বোধন করেন নার্সিংহোমের সিইও প্রদীপ টন্ডন। তাঁর দাবি, এমন যন্ত্রটি পূর্বাঞ্চলে এই কেন্দ্রেই প্রথম। পরে হায়দরাবাদের কম্পিউটার অ্যাসিস্টেড জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট কেন্দ্রের অধিকর্তা কৃষ্ণ কিরণ এবং কলকাতার ওই নার্সিংহোমের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধিকর্তা সন্তোষ কুমার দু’টি অস্ত্রোপচার করেন। |