জমি খোঁজা নিয়ে সমস্যা ছিলই, সমস্যা ছিল ডাক্তার জোগাড়ের ক্ষেত্রেও। তার মধ্যেই মা ও শিশুর জন্য চিকিৎসা হাব তৈরির কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, এই হাব তৈরির জন্য অনেক খুঁজে ১১টি জায়গা ঠিক করা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি শহরেই। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে প্রস্তাবিত জায়গায় সোমবার প্রথম হাবের শিলান্যাস করেন স্বাস্থ্য-প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। |
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে প্রায় ৬ মাস কেটে গিয়েছে। টাকাও এসেছে প্রায় ৪ মাস আগে। ডাক্তার ও জমির অভাবে এত দিনে প্রথম হাবটির শিলান্যাস হল মাত্র। ১১টি হাবের জন্য জায়গা, ডাক্তার, নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী আদৌ জোগাড় হবে কি না, স্বাস্থ্য দফতরের ভিতরেই প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। চন্দ্রিমাদেবীর উত্তর, “টাকা তো সবে আসতে শুরু হয়েছে। সব হয়ে যাবে। মেডিক্যালের হাবটি ‘সেন্ট্রাল অফ এক্সেলেন্স’-এর মর্যাদা পাবে।” আর রাজ্য সরকারের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব, “জমি খোঁজা শুরু হয়েছে। যেখানে জমি নেই সেখানে বর্তমান ভবনগুলি বাড়ানোর কাজও হবে। এখনও অনেক সময় আছে।”
এ দিন মেডিক্যাল কলেজের ১৭৯তম প্রতিষ্ঠাদিবসের অনুষ্ঠানে ছিলেন চন্দ্রিমাদেবী, হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের বিদ্যুৎ ও পরিকল্পনা-উন্নয়নমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত এবং ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন মেডিক্যালে একটি ৭০ শয্যার ‘সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট’-এর উদ্বোধনও হয়। এর নামকরণ হয়েছে রাজ্যের প্রথম মহিলা ডাক্তার কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে ‘ডিমড ইউনিভার্সিটি’ করার আবেদন জানান মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রেরা। তাঁদের দাবি বিবেচনা করে বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান চন্দ্রিমাদেবী ও মণীশবাবু। |