|
|
|
|
মৃত দুই, আহত ১৬ |
অতিরিক্ত যাত্রী তুলেই দুর্ঘটনার কবলে ট্রেকার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ট্রেকারে অতিরিক্ত যাত্রী তুলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি চালক। ফলে কিছু দূর গিয়েই রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল ট্রেকার। মৃত্যু হল এক মহিলা-সহ দু’জনের। আহত হয়েছেন ১৬ জন। সোমবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে কুমোরগঞ্জ বাজারের কাছে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মাঝবয়সী পুরুষ ও মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। ৭ মহিলা-সহ ১৩ জনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
চাষের জন্য গভীর নলকূপে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের দাবিতে এ দিন তমলুক থানার বিষ্ণুবাড়-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা ও পরে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত দু’দফায় তমলুক-পাঁশকুড়া সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় কয়েকজন চাষি। ফলে দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বাস চলছিল না। মাঝে যে সময়টা অবরোধ ওঠে, অতিরিক্ত যাত্রী তুলে যাতায়াত শুরু করে ট্রেকারগুলি।
|
|
দুর্ঘটনার পরে সেই ট্রেকার। —নিজস্ব চিত্র। |
তমলুক থেকে হরিদাসপুরগামী দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেকারটিতে ভিতরে, ছাদে ও দু’পাশে ঝুলে তিরিশেরও বেশি যাত্রী উঠেছিলেন। তমলুক শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কুমোরগঞ্জ বাজারের কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ধারে বাঁ দিকে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারেন। উল্টে পড়ে ট্রেকারটি। ঘটনাস্থলেই এক মহিলা-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। জেলা হাসপাতালে ভর্তি মাধবী মণ্ডল বলেন, ‘‘তমলুকের হরিরবাজারে মাছ বিক্রি করে প্রতিদিন বাসে চেপে হরিদাসপুরে বাড়ি ফিরি। এ দিন বাস বন্ধ থাকায় ট্রেকারে উঠেছিলাম। খুব ভিড় ছিল। চালক জোর গতিতে চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান।” ট্রেকারটি অতিরিক্ত যাত্রী তুলেছিল বলে জানান আহত সুপ্রিয়া বাড়িও। তিনি বলেন, “তমলুক থেকে বাড়ি ফেরার বাস না পেয়ে ট্রেকারে উঠেছিলাম। ৩০-৩৫ জন যাত্রী ছিল। ট্রেকারটি রাস্তায় দুলে-দুলে বিপজ্জনক ভাবে যাচ্ছিল। তারপরই এই দুর্ঘটনা ঘটে।” পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরই চালক পালিয়ে গিয়েছেন। ট্রেকারটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|