|
|
|
|
পঞ্চায়েত ভোট |
বরাকে প্রার্থীই পেল না অগপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকায় এখনও মাটি খুঁজে পায়নি অসম গণ পরিষদ (অগপ)। বিধানসভার মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বহু আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি তারা। কাছাড়ে জেলা পরিষদের ২৭ আসনের মধ্যে অগপ মাত্র তিনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য পদে ৯টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি পদে ১০টি আসনে প্রার্থী রয়েছে তাদের। সব মিলিয়ে মোট আসনের ২.৮৭ শতাংশ মাত্র। একই হাল করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দিতেও। করিমগঞ্জে ২০টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে অগপ লড়ছে সাকুল্যে ৯টিতে। গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতির ৯৬টির মধ্যে প্রার্থী রয়েছে ২৫ আসনে। আর হাইলাকান্দিতে, যে জেলা থেকে দু’দু’বারই প্রতিনিধি ছিলেন অগপ মন্ত্রিসভায়, সেখানে ১১ জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে এই দল লড়ছে মাত্র ৩টিতে!
কেন এই হাল? অগপ-র কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রাজা সেনগুপ্ত, কাছাড় জেলা সভাপতি নবকুমার দাসরা অনেক কৈফিয়ত দিলেও পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, প্রফুল্ল মহন্ত-বৃন্দাবন গোস্বামীদের দলটি বরাক উপত্যকার মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৮৫ থেকে এ পর্যন্ত মাত্র পাঁচ জন বিধায়ক ১৫ সদস্যের এই অঞ্চল থেকে অগপ টিকিটে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে আবার প্রাক্তন মন্ত্রী (প্রয়াত) শহিদুল আলম চৌধুরী ছাড়া কেউ দ্বিতীয় বার অগপ টিকিটে জেতেননি।
দু’বার মন্ত্রিত্বে থাকলেও অগপ নেতাদের মুখে সমন্বয়ের কথা বরাকের মানুষ বিশ্বাস করতে পারেন না। কাছাড় জেলা সাধারণ সম্পাদক বিমলেন্দু সিংহ এ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও প্রাক্তন পুরপিতা শান্তনু দাস খোলামেলা বলেন, “দলটির জন্ম ও বাড়বাড়ন্ত যে অসম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, তা বরাকে ভীতির সঞ্চার করেছিল। কারণ সে সময় বিদেশি বহিষ্কারের নামে বেছে বেছে বাঙালিদের নির্যাতন করা হয়েছিল। এ জন্যই এই উপত্যকায় অগপ-র প্রতি কোনও আবেগ নেই এখানকার বাসিন্দাদের মনে।”
বরাকবাসীর আবেগকে অগপ যে তিন দশকেও ছুঁতে পারেনি, তা স্বীকার করে নেন করিমগঞ্জ জেলা কমিটির বর্তমান সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের সময় দলীয় তহবিল থেকে একটি টাকাও মেলে না। ফলে কংগ্রেস-বিজেপি বা এ আই ইউ ডি এফ-এর সঙ্গে এঁটে ওঠা সম্ভব নয়। এঁরা স্বীকার করেন, বিদেশি খেদাও আন্দোলনের জন্য অগপ-কে বাঙালিপ্রধান বরাক উপত্যকার মানুষ এখনও মন থেকে মেনে নিতে পারেন না। |
|
|
|
|
|