ফের বিদেশে ঋণপত্র ছাড়ল আরআইএল |
ফের বিদেশের বাজারে ঋণপত্র ছাড়ল রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ (আরআইএল)। চলতি অর্থবর্ষে এই নিয়ে পঞ্চম বার।
সোমবার হংকং ও সিঙ্গাপুরের বাজারে এই ঋণপত্র বা বন্ড ছেড়েছে মুকেশ অম্বানীর সংস্থাটি। লক্ষ্য, এর মাধ্যমে ন্যূনতম ২,৭০০ কোটি টাকা তোলা। বন্ডগুলির নির্দিষ্ট কোনও মেয়াদ নেই। তাই এগুলিকে সংস্থার শেয়ার হিসেবেও গণ্য করা যাবে। তবে হাতে ৭৫,০০০ কোটির মতো উদ্বৃত্ত নগদ থাকা সত্ত্বেও কেন এই বন্ড ছাড়ল তারা? সংশ্লিষ্ট সূত্রে দাবি, বন্ডে এখন সুদ কম। তাই দীর্ঘ মেয়াদে টাকা তোলার এটা ভাল সময়। যা ভবিষ্যতে জামনগর তেল শোধনাগারে লগ্নি বাড়ানোর জন্য কাজে লাগাতে পারবে সংস্থা।
|
ভারতে ঘড়ি-ফোন আনল ডাচ সংস্থা |
ঘড়ির মধ্যেই ফোন। ‘জেনারেশন নেক্সট’-এর বাজার টানতে দুই প্রযুক্তির মিশেলকে বাজি ধরেই ভারতে পা রেখেছে ডাচ ব্র্যান্ড বার্গ। লগ্নির অঙ্ক ১০০ কোটি টাকা।
‘ওয়াচ ফোন’ (ঘড়ি-ফোন)-এর দুনিয়ায় প্রথম পা দেওয়া এই সংস্থার নজরে ভারতের বাজার। কলকাতার বাজারে নবতম ঘড়ি-ফোনের মডেল ছেড়ে সংস্থার প্রধান হার্মান বার্গ জানান, ভবিষ্যতে বিশ্বের ৫টি বড় বাজারের অন্যতম হয়ে উঠবে ভারত। তাই এ দেশে উৎপাদন কেন্দ্র গড়তে উৎসাহী তিনি। তাঁর দাবি, ভারতীয় বাজারের চাহিদা মেনেই তৈরি হবে নতুন নতুন নকশার ঘড়ি-ফোন। বর্তমানে নেদারল্যান্ডসে নকশা তৈরি হয়। চিনের কারখানায় হয় পণ্য।
|
কলকাতা থেকে তিনটি নয়া উড়ান |
কলকাতা থেকে নতুন উড়ান চালু করতে চলেছে বিমান সংস্থা গো এয়ার।
মুম্বইয়ের এই বিমান সংস্থা এত দিন কলকাতা থেকে শুধুমাত্র দিল্লি ও পোর্ট ব্লেয়ারে উড়ান চালাচ্ছিল। এ বার তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরও তিনটি উড়ান। সংস্থার সিইও জর্জিও ডি রুনি জানিয়েছেন, ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে আমদাবাদ, বাগডোগরা ও গুয়াহাটিতে নিয়মিত উড়ান চালাবেন তাঁরা। তাঁর দাবি, ভাল টিকিট বিক্রি হতেও শুরু করেছে। সারা দেশে ২২টি শহরে সংস্থার ১৩টি বিমান চলছে। সে অর্থে গুয়াহাটি ও বাগডোগরা দু’টি শহরই তাঁদের কাছে নতুন গন্তব্য।
|
খুচরো ব্যবসা ও হোটেল শিল্পে দক্ষ কর্মীর চাহিদা মেটাতে হাত মেলাল ফিউচার গোষ্ঠী এবং ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। তাদের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ফিউচার শার্প স্কিলস (এফ এস এস এল) প্রথম দফায় আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ১০০ জন বেকারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। |
ড্রিমলাইনার বেচতে চায় এয়ার ইন্ডিয়া
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সদ্য কেনা সাতটি ড্রিমলাইনার বিমানের খদ্দের খুঁজতে নামল এয়ার ইন্ডিয়া। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে আগুন লাগার আশঙ্কা থাকায় গোটা বিশ্বেই এই বিমানের উড়ান বন্ধ হয়ে গিয়েছে সম্প্রতি। ড্রিমলাইনার চালানো বন্ধ করেছে এয়ার ইন্ডিয়াও। সংস্থার আর্থিক সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানগুলি বিক্রি করা বা লিজে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না-এসে ফেব্রুয়ারির গোড়ায় সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে দরপত্র চেয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই ডাকে কতটা সাড়া মিলবে, সেই প্রশ্ন থাকছে। সংস্থা সূত্রে খবর, ড্রিমলাইনারগুলি বিক্রি করা বা লিজ দেওয়া গেলে খরচ কমার পাশাপাশি কর ছাড় পাওয়ার ফলে সাশ্রয়ও হবে। এই মুহূর্তে এয়ার ইন্ডিয়ার হাতে ছ’টি ড্রিমলাইনার আছে। সপ্তম বিমানটি আসার কথা আগামী মাসে।
|
একসঙ্গে মাসুল বাড়াল সিইএসসি, বণ্টন সংস্থা |
ডিজেল, কয়লা-সহ বিভিন্ন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে ফের বিদ্যুতের মাসুল বাড়ল। সিইএসসি এলাকায় ইউনিট-পিছু গড়ে আট পয়সা এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন এলাকায় গড়ে ১১ পয়সা মাসুল বেড়েছে। এর ফলে সিইএসসি এলাকায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বেড়ে হল গড়ে ছ’টাকা ১৭ পয়সা আর বণ্টন এলাকায় গড়ে পাঁচ টাকা ৯৩ পয়সা। দুই সংস্থার গ্রাহকদের জানুয়ারির বিল থেকেই নতুন হারে মাসুল দিতে হবে। সিইএসসি-র এক কর্তা জানান, কোল ইন্ডিয়ার কাছ থেকে চু্ক্তির বাইরে কয়লা কিনলেই ৪০% বেশি দাম দিতে হয়। চুক্তির কয়লা আগেই কেনা হয়ে গিয়েছে। তাই এখন চু্ক্তির বাইরে কয়লা কিনতে হচ্ছে বেশি দাম দিয়েই। তার উপরে ডিজেলেরও দামও বাড়ায় এই মাসুল বৃদ্ধি বলে জানান ওই কর্তা। একই যুক্তি দেখিয়েছেন বণ্টন সংস্থার কর্তারাও। জ্বালানি খরচ বাড়লে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলি এখন নিজেদের মতো করে মাসুল বাড়িয়ে নিতে পারে। পরে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে আবেদন করে মাসুল বৃদ্ধির অনুমোদন নিতে হয়। কমিশন ওই আবেদনের ভিত্তিতে সব দিক বিবেচনা করে মাসুল সংশোধন করে দেয়। কিছু দিন আগেই রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের অনুমোদনে সিইএসসি এলাকায় প্রতি ইউনিটে ছ’পয়সা মাসুল বেড়েছিল। তখন ইউনিট-পিছু মাসুল বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ছ’টাকা ন’পয়সা। তবে কমিশনের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এলাকায় সে-বার মাসুল বাড়েনি। এ বার জ্বালানির খরচ বাড়ায় দুই সংস্থাই মাসুল বাড়ল। |