টুকরো খবর
সহবাস করে প্রতিশ্রুতিভঙ্গ,
অভিযুক্ত শিক্ষক
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে প্রতিশ্রুতিভঙ্গের অভিযোগ উঠল এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার ইলামবাজার থানা এলাকার এক যুবতী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলার পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “ওই যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতিশ্রুতিভঙ্গের মামলা শুরু করেছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।” ইতিমধ্যেই বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে অভিযোগকারিণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। ওই যুবতী পুলিশের কাছে তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত এক সময় তাঁর গৃহ শিক্ষক ছিলেন। গৃহশিক্ষকতার সুবাদে তিনি ওই যুবতীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। অভিযোগকারিণীর দাবি, “২০০১ সাল থেকে ওই শিক্ষকের সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। ২০০২-১২ সাল পর্যন্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি একাধিক বার আমার সঙ্গে সহবাস করেছেন।” যুবতীর অভিযোগ, চলতি বছরেই অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তার পরেই তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। দুবরাজপুরের ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সাক্ষ্য দিল ছোট্ট দিশা
চকোলেট খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছে থেকে খেলার সঙ্গীকে নিয়ে গিয়েছিলেন ‘বিনয় দাদু’। তার পর সঙ্গীর খোঁজ যখন মিলেছিল, তখন বন্ধুর থেকে আর কোনও সাড়া পায়নি ছোট্ট মেয়েটি। তার খেলার সঙ্গী, ৮ বছরের নাবালিকা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। সোমবার বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে মামলার দ্বিতায় দফার সাক্ষ্যগ্রহণে সেই ‘বিনয় দাদু’কে শনাক্ত করল নানুর থানা এলাকার সাহসী মেয়ে দিশা লাহা। এ দিন বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহের এজলাসে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে নিহত ছাত্রীর এই নাবালিকা সঙ্গী। সরকার পক্ষের আইনজীবী তপনকুমার দে-র দাবি, “নানুর থানার সাঁতরা গ্রামে ৮ বছরের এক ছাত্রীকে চকোলেট দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করে খুন করেছিল প্রতিবেশী যুবক বিনয় মাঝি। ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যার ওই ঘটনায় সেই রাতেই অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্ত বিনয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ বিনয়কে জেরা করে ওই নাবালিকার দেহ একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে।” জেল হাজতে থাকাকালীনই এই মামলার বিচার শুরু হয়। এ দিনই মামলার দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্যগ্রহণে সাক্ষ্য দিল নিহত নাবালিকার সঙ্গী দিশা ও আর এক প্রতিবেশী যুবক রিমু দে। ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধারের সময় হাজির ছিলেন রিমুবাবু। প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বরই এই মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্যগ্রহণ।

আত্মঘাতী মা-ছেলে
বছর আটেক আগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল বড় ছেলে। মানসিক অবসাদের জেরে রবিবার আত্মহত্যা করল ছোট ছেলেও। সেই শোকে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হলেন মা। ঘটনাটি নানুরের রানিপুর গ্রামের। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন পিনাকী চোধুরী (২৮), আল্পনাদেবী (৪৮)। সোমবার সকালে বাড়ির দোতলার ঘরে মাফলার জড়িয়ে ঝুলতে দেখা যায় পিনাকীকে। এই খবর শোনার পরই মা আল্পনাদেবী বাড়িতে রাখা কীটনাশক খেনে নেন। তাঁকে নানুর থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানি দেন। ছেলে ও স্ত্রীকে হারিয়ে কথা বলার অবস্থায় ছিলে না ব্রজগোপালবাবু। আত্মীয় অসীম মণ্ডলের আক্ষেপ, “কী যে হল, কিছুই বুঝতে পারছি না। এম.এ পাশ করার পরে পিনাকী বাড়িতেই বসেছিল। আট বছর আগে তার দাদা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। সব শেষ হয়ে গেল!” পুলিশ জানায়, কী কারণে আত্মহত্যা, তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ
হাসপাতালের আবাসন থেকে প্রশিক্ষণরত এক নার্সিং ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি সিউড়ি সদর হাসপাতালের। মৃতার নাম সাবিত্রী বেসড়া (১৮)। মহম্মদবাজার থানার গণপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। মৃতদেহের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। হাসপাতাল সুপার মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “সাবিত্রী প্রথম থেকেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছিল। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পাশাপাশি তার চিকিৎসাও চলছিল। ছুটির কাটিয়ে রবিবার বিকেলে বাবার সঙ্গে সে এখানে আসে।” ওই দিন সাবিত্রী তাড়াতাড়ি খেয়ে নিজের ঘরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে দুই রুমমেট তিনতলার ঘরে গিয়ে দেখে, গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে সাবিত্রী। ওই তরুণীর বাবা সুরেন বেসড়া বলেন, “মেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। কিন্তু এমনটা হবে ভাবতে পারিনি।”

সাসপেন্ড ৩ রেলকর্মী
কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে রামপুরহাট স্টেশনের তিন রেলকর্মীকে সাসপেন্ড করল কর্তৃপক্ষ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড় করাতে গিয়ে সাহেবগঞ্জগামী রামপুরহাট-গয়া প্যাসেঞ্জারের পিছন দিকের একটি কামরার চাকা লাইনচ্যুত হয়ে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছিল সাহেবগঞ্জ-বর্ধমান লুপ লাইনে। ঘন্টা দু’য়েক পরে মেরামতির পরে স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। রামপুরহাট স্টেশন ম্যানেজার অলোক কুমার বলেন, “কর্তব্যে গাফিলতির জন্য সান্টিং বিভাগের ৩ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
ধান বোঝাই গরুর গাড়ির তলায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল মোস্তাকিম শেখ (৫০) নামে এক প্রৌঢ়ের। ময়ূরেশ্বরের সাজ্জাহাট গ্রামে তাঁর বাড়ি। রবিবার ধান নিয়ে যাওয়ার সময়ে অসাবধানতায় মোস্তাকিমবাবু পড়ে যান। তখন তাঁর কোমরের উপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে যায়। হাসপাতালে তিনি মারা যান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.