কৃষিমেলা প্রহসন, দাবি বিধায়কের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • অন্ডাল |
কৃষিমেলায় এসে কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটকের জন্য দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফিরে গেলেন পাণ্ডবেশ্বরের সিপিএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার উখড়ার কৃষিমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা ছিল কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটকের। তাঁর আসার কথা ছিল সকাল ১১টা নাগাদ। কিন্তু এসে পৌঁছন সন্ধ্যে ৬টায়। তাঁর জন্য সকাল ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ফিরে যান ন গৌরাঙ্গবাবু। তিনি জানান, বিকেল ৪টে পর্যন্ত মন্ত্রীর আসার খবর জানতে টেলিফোনে আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন তিনি। তৃণমূলের পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি নরেন চক্রবর্তী বলেন,“নানা কাজে মন্ত্রী আটকে গিয়েছিলেন। রানিগঞ্জের বল্লভপুরেও একটি কৃষিমেলা ছিল। সেখান থেকে আসতে দেরি হয়েছে।” এ দিন কৃষিমেলায় এসে মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আট মাস কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। কৃষকদের জন্য যা করার, করে গিয়েছেন। আর নতুন করে কিছু করার নেই। আমাদের সেই কাজগুলি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” |
অন্ডালে আয়োজিত হল কৃষিমেলা। |
তিনি বলেন,“রাজ্য সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছে। মহাজনি ফাঁদ থেকে কৃষকদের বাঁচাতে তিন শতাংশ সুদে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষকদের ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।” কিন্তু গৌরাঙ্গবাবুর বক্তব্য, জামুড়িয়া, অন্ডালে সিঙ্গারন নদী এবং পাণ্ডবেশ্বরের টুমনী নদীতে চেকড্যাম্প দরকার। জামুড়িয়া শিল্পতালুকের পাশ দিয়ে সিঙ্গারন নদী বয়ে যাওয়ায় শিল্পতালুকের সব বর্জ্য নদীর জলে মেশে। ওই জল দূষিত হলে জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ওই এলাকায় কৃষি দফতরকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব কিছুই আলোচনা হয়নি। আরও বেশি কৃষকদের যোগদান দরকার ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘এ দিন কৃষিমেলার নামে কার্যত প্রহসন হল। আর তৃণমূল ক্যাডারদের মোচ্ছবের জন্য সরকারি টাকা খরচ হল।” তবে অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আয়োজন ভালোই। তবে কৃষকদের তুলনায় অন্য পেশার মানুষেরই ভিড় ছিল বেশি।” মন্ত্রী দেরিতে আসায় মেলামঞ্চ কার্যত তৃণমূলের দলীয় সম্মেলনে পরিণত হয়। ছিলেন দুই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ও তাঁদের শ্রমিক সংগঠন কেকেএসসির সাধারণ সম্পাদক এবং প্রদেশ তৃণমূল সদস্য। সরকারি আয়োজনে তাঁদের প্রত্যেককেই পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। মঞ্চে দেখা গিয়েছে রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলিকেও। |