জোট করে কোচবিহারে পুরবোর্ড দখল করলেও কাউন্সিলরের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনের দখল নিতে মুখোমুখি হচ্ছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে গত পুরভোটে কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ রায় জয়ী হন। সম্প্রতি তাঁর মৃত্যু হয়। নিয়ম অনুযায়ী আগামী ছমাসের মধ্যে ওই আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা।
২০ আসনের কোচবিহার পুরসভায় কংগ্রেস আটটি, তৃণমূল তিনটি, বামেরা নয়টি ( সিপিএম ৫টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ৪টি) আসনে জেতে। ভোটের পর জোট করে চেয়ারম্যান পদ নেয় কংগ্রেস। উপপ্রধান হন তৃণমূল কাউন্সিলর। তার মধ্যে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী নিকটতম সিপিএম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৫৯ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন। এমতাবস্থায়, কংগ্রেস-তৃণমূলের ভোট কাটাকুটি যদি হয় এবং বামেরা আসনটি জিতে গেলে জটিলতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস-তৃণমূল ১০টি ও বামেরাও ১০টি দখল করবে। অর্থাৎ টাই হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
কোচবিহারের জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “গত পুরভোটেও আমাদের প্রার্থী বাম, তৃণমূল কে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। এবারও কংগ্রেস জিতবে।” এই ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বক্তব্য, তাঁরা জিতবেনই। তিনি বলেন, “আমরা ওই আসনে লড়াই করব। জিতবও।” কোচবিহার পুরসভার কংগ্রেস চেয়ারম্যান বীরেন কুন্ডু অবশ্য এসব নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। কংগ্রেস ও তৃণমূলের ওই কাজিয়ার সুযোগ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বামেরা। বামেদের বক্তব্য, রাজ্য ও কেন্দ্রে জোট ভাঙলেও কোচবিহারে কংগ্রেস-তৃণমূল এখনও ‘ভাই-ভাই’। উপনির্বাচনে ওই ইস্যুকেই সামনে এনে প্রচারে জোর দিতে চাইছেন তারা। কোচবিহার পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দ সাহা বলেন, “রাজ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট নেই। অথচ কোচবিহারে তা ভাঙেনি। অনেক লেনদেনের অভিযোগ শুনেছি। সেসব মানুষ জানেন। ফলে উপনির্বাচনে আমরাই জিতব। এজন্য প্রস্তুতি চলছে।” |