মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের আগের দিন দিল্লির যন্তরমন্তরে আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ধর্নার দিন ঘোষণা করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বৃহস্পতিবার মোর্চার তরফে ওই আন্দোলনের ঘোষণা করা হয়েছে। মোর্চা সূত্রের খবর, ধর্না আন্দোলনে মোর্চার শীর্ষ নেতাদের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই আন্দোলনের ঘোষণাকে ঘিরেই পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড়ের অনুষ্ঠানকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই কী মোর্চা নেতারা আগাম ওই আন্দোলনের ঘোষণা করেছেন। তবে শেষ অবধি ক’জন শীর্ষ নেতা দিল্লি যাবেন তার উপরেই গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে।
মোর্চা সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত অবধি ঠিক রয়েছে, পাহাড়ের তিন বিধায়ক এবং জিটিএ সদস্যরা দিল্লিতে যাবেন। এই প্রসঙ্গে মোর্চার সহকারি সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি কুমার রাই বলেন, “দিল্লিতে থেকে আমাদের আন্দোলন শুরু হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিষয়টি পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য। বিধায়ক, জিটিএ সদস্যরা আন্দোলনে যোগ দেবেন।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও মোর্চার দিল্লিতে ধর্না দেওয়ার বিষয়টি শুনেছেন। তিনি বলেন, “এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। উত্তরবঙ্গ উৎসবের পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান হবে।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৮ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ উৎসবে যোগ দিতে শিলিগুড়ি আসছেন। পরদিন, দার্জিলিং ম্যালে মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তার পরের দিন, মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতা ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু এদিন সন্ধ্যাতেই মোর্চার তরফে সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড়ের সরকারি কোনও অনুষ্ঠানের কথা তাঁদের জানা নেই। এর পরেই মোর্চার তরফে রাতে দিল্লির আন্দোলনের কথা ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ দিল্লিতে কংগ্রেস এবং বিজেপি’র নেতা, মন্ত্রীদের চিঠি লিখে তেলেঙ্গানার মত গোর্খাল্যান্ডের দাবিকেও সমর্থন করার আবেদন করেন। এমনকি, তেলেঙ্গনার সঙ্গে গোর্খাল্যান্ড তৈরি না হলে আন্দোলনের হুমকিও দেন গুরুঙ্গ। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে, মোর্চার তরফে রাজ্য সরকারের কাছে কোনও চিঠি পাঠানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন পড়ায় মোর্চার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, জিটিএ সভায় গোর্খাল্যান্ডের বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করিয়ে তা কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ আকারে পাঠানোর জন্য রাজ্যের কাছে পাঠানো হবে। |