মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের আগের দিন দিল্লির যন্তরমন্তরে আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ধর্নার ঘোষণা করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চা সূত্রের খবর, ধর্না আন্দোলনে মোর্চার শীর্ষ নেতাদের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দোলনের ডাকে ‘বিব্রত’ দার্জিলিং জেলা তৃণমূল নেতাদের অনেকেই। সম্প্রতি পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের মতো গোর্খাল্যান্ডের দাবিও তোলে মোর্চা। তার পরে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিতি এড়াতেই মোর্চা এই ঘোষণা করেছে বলে অনুমান। তবে শেষ অবধি ক’জন শীর্ষ নেতা দিল্লি যাবেন তার উপরেই গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আগামী ২৮ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ উৎসবে যোগ দিতে শিলিগুড়ি আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। পর দিন, দার্জিলিং ম্যালে মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু এ দিন সন্ধ্যাতেই মোর্চার তরফে সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানিয়ে দেন, পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি কোনও অনুষ্ঠানের কথা তাঁদের জানা নেই। এর পরেই মোর্চার তরফে রাতে দিল্লির আন্দোলনের কথা ঘোষণা করা হয়। মোর্চা সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত অবধি ঠিক রয়েছে, পাহাড়ের তিন বিধায়ক এবং জিটিএ সদস্যরা দিল্লিতে যাবেন। মোর্চার সহকারি সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিকুমার রাই বলেন, “২৭ তারিখে দিল্লি থেকে আমাদের আন্দোলন শুরু হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছে বিষয়টি পৌঁছনোই আমাদের লক্ষ্য।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবও মোর্চার দিল্লিতে ধর্না দেওয়ার বিষয়টি শুনেছেন। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ উৎসবের পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান হবে।” সম্প্রতি মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ দিল্লিতে কংগ্রেস ও বিজেপি’র নেতা-মন্ত্রীদের চিঠি লিখে তেলেঙ্গানার মতো গোর্খাল্যান্ডের দাবিকেও সমর্থন করার আবেদন করেন। এই দাবিতে আন্দোলনের হুমকিও দেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মোর্চার তরফে রাজ্য সরকারের কাছে কোনও চিঠি পাঠানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন ওঠায় মোর্চার তরফে জানানো হয়, জিটিএ সভায় গোর্খাল্যান্ডের দাবি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করিয়ে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ আকারে পাঠানোর জন্য রাজ্যের কাছে পাঠানো হবে। |