অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা মূল্যের কাশির ওষুধ ও একটি গাড়ি আটক করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কাশির ওষুধগুলি হাওড়া থেকে বনগাঁয় নিয়ে আসা হয়েছিল। মনোজকুমার রায় নামে কলকাতার বাবুঘাট এলাকার এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে জেরা করে ৬ জন পাচারকারীর নাম জানা গিয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটক গাড়ির মালিক ও তাঁর ছেলে রয়েছেন। তাদের বাড়ি কলকাতায়। বাকি অভিযুক্তদের বাড়ি পুরানো বনগাঁ এবং শিমূলতলায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে নেশার দ্রব্য হিসাবে ‘ডাল’ (বাংলাদেশে এই নামেই পরিচিত) বা কাশির ওষুধের ভাল চাহিদা রয়েছে। সন্ধ্যা নামলেই বাংলাদেশিরা চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে বনগাঁর বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে এই নেশার ওষুধ সংগ্রহ করে। মূলত হাওড়ার শালিমার এলাকা থেকে পাচারকারীরা বনগাঁ সীমান্তে কাশির ওষুধগুলি পাচারের জন্য নিয়ে আসে। গাইঘাটা, হাবরা ও বনগাঁয় এই চক্রের ঘাঁটি আছে। পাচারকারীদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য রয়েছে একটি নিদিষ্ট ‘করিডর’। পুলিশ আরও জানিয়েছে, যেহেতু এই কাশির ওষুধ খুব সহজেই বহন করা যায়, তাই ধরা পড়বার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে ক্রমশই সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় হচ্ছে এই পাচারচক্র। এমনকী সিন্ডিকেট তৈরি করে সীমান্ত এলাকার কিছু যুবক গোপনে এই পাচারের ব্যবসা শুরু করেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “ধৃতকে জেরা করে ৬ জন পাচারকারীর নাম জানতে পারা গিয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” |