|
|
|
|
বৌমাকে খুন করে আত্মসমর্পণ করলেন শ্বশুর |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বৌমাকে খুন করার পরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন শ্বশুর। বৃদ্ধের স্বীকারোক্তি, “েবৗমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জীবন। তাই নিষ্কৃতি পেতে শ্বাসরোধ করে মেরেছি বৌমাকে।”
বুধবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানার তালগাছাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। রাতেই রামনগর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধ শ্বশুর কিঙ্কর জানা। পরে অবশ্য মৃতা মমতা জানার (২৯) বাপের বাড়ির লোকেরাও কিঙ্করবাবুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেন। বৃহস্পতিবার কিঙ্করবাবুকে কাঁথি আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিঙ্করবাবুর একমাত্র ছেলে সঞ্জয়ের সঙ্গে বছর সাতেক আগে রামনগর থানারই যশতেঘরি গ্রামের নির্মাল্য চন্দের মেয়ে মমতার বিয়ে হয়েছিল। সঞ্জয় কর্মসূত্রে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে থাকেন। মমতাদেবী তাঁর মেয়েকে নিয়ে থাকতেন তালগাছাড়ি গ্রামের বাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে।
কিঙ্করবাবু পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, বৌমার জন্য বাড়িতে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বুধবার রাতে বৌমার গলায় শাড়ি জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে মারেন। মেয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ মমতাদেবীর মা শান্তিলতা চন্দ। উল্টে তাঁর অভিযোগ, “জামাই শিলিগুড়িতে থাকতেন। নাতনি হয়েছে বলে আমার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যাননি। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করতেন। এই সব কিছুর জন্য মেয়ে কিছুটা রগচটা হয়ে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তাই বলে কেউ খুন করে ফেলবে ভাবতে পারিনি।” এ দিকে, এ দিনই কলকাতার বেনিয়াপুকুরের কান্টোফার লেনে বৃদ্ধা মা’কে মারধর করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ছেলে ও বৌমাকে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম আসফর শামিম এবং আমিশা আসফর। আফসরের মা ইসরত জাহান হাসপাতালে নিজেই চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা তাঁর কাছে কী ভাবে আঘাত লাগল জানতে চেয়েছিলেন। প্রথমে বলতে না-চাইলেও পরে সব কথা চিকিৎসককে খুলে বলেন ওই বৃদ্ধা। |
|
|
|
|
|